জাতিসংঘ ও বিভিন্ন দূতাবাসে বিএনপির চিঠি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তাদের চিঠিতে দুই একজন ব্যক্তি প্রভাবিত হতে পারে কিন্তু কোনো দেশ হবে না। এসব নিয়ে বাংলাদেশ সরকারও বিচলিত নয়।’
সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এখন অভিযোগকারী দল।
তারা অযথা তদবির করছে। তারা (বিএনপি) বিভিন্ন দেশে লবিস্ট নিয়োগ করে বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা অভিযোগ পাঠাচ্ছে। এগুলো সঠিক নয়। কারণ বাস্তব অবস্থা সবাই জানে।
অসুস্থ বোধ করায় সোমবার বিকেল পর্যন্ত কোনো নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বিকেলে তিনি সিলেটের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় যোগ দেন। এ সময় ব্যবসায়ী নেতারা আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দেন। এ ছাড়া নির্বাচনে জয়ী হলে সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে ১২ দফা প্রস্তাব পেশ করেন তিনি।
সিলেট চেম্বার সভাপতি তাহমিন আহমদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহসভাপতি ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, পরিচালক ও সাবেক সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেন তাদের প্রস্তাবগুলোকে স্বাগত জানান এবং সফল হলে সেগুলো বাস্তবায়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে বিশ্বাস করে। কারণ আওয়ামী লীগ আছে, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, মজুদ বাড়ছে। আর উন্নয়নের মূলনীতি হলো গণতান্ত্রিক ক্ষমতার ধারাবাহিকতা।
তাই দেশের উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোটের মাধ্যমে বিজয়ী করতে হবে।