সারাদেশে অরাজগতা সৃষ্টি হয়েছে। আওয়ামী লীগের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দললের নেতারা বিক্ষোপ সমাবেশের আয়োজন করে আসছে। তবে এর পরিণতি কি হতে কেউ জানেনা। এরই মধ্যে প্রায় তিন জন প্রয়াত হয়েছে। আরো অনেক মানুষ প্রয়াত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছ বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতি দ্বন্দ্বে পরিণত হয়েছে। সারাদেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। কর্মসূচিতে প্রতিদিনই হামলার শিকার হচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশ সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এসব কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি বাড়ি-ঘরে এমনকি নেতাকর্মীদের কর্মকাণ্ডে হামলা চালানো হয়। কেন্দ্রীয় নির্বাহীরাও রেহাই পাচ্ছেন না।
যেখানে হামলা হয় সেখানে মামলা হয়। গ্রেফতারও চলছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা প্রায় প্রতিদিনই রাজনৈতিক বিতর্কে অংশ নেন। হাইওয়ে আক্রমণ এবং বিরোধী আক্রমণ সতর্কতা আছে.
আগামী দিনে বর্তমান পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। ঘাঁটিতে ব্যাপক সংঘর্ষ রাজধানী পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
বিএনপির দেওয়া তথ্য ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২২ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচিতে রোববার পর্যন্ত ৪১টি সমাবেশে হামলা হয়েছে।
বিএনপির ৪ হাজার ৮১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এতে প্রায় ২০,০০০ অজ্ঞাত আসামী অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ পর্যন্ত ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার অন্তত ২৫টি জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। হামলায় একজন নিহত ও দুই হাজার নেতাকর্মী আহত হন। অন্তত ৫০টি জায়গায় বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে।
জানতে চাইলে সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার যুগান্তরকে বলেন, দেশে যা হচ্ছে তাকে রাজনীতি বলা যাবে না। এটা অরাজনৈতিক। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কোভিড পরিস্থিতি মোকাবেলা করার সাথে সাথে আমাদের অর্থনীতিতে একটি গুরুতর আঘাত করেছিল।
এখন যেটা দরকার তা হল রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন কর্মসূচি ও বিতর্কের কারণে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। এভাবে চলতে থাকলে সামনে অন্ধকার অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার কোনো লক্ষণ নেই। তারা একে অপরের সাথে লড়াই করার কৌশল নিয়ে ব্যস্ত। ক্ষমতাসীন দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা চালাচ্ছে।
তবে একবার বিএনপিও লড়াই করতে পারবে। তখন পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। সেই ভয়াবহ দিন দেশের মানুষ দেখতে চায় না।
তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে দ্রুত আলোচনা করতে হবে। রাজপথে রাজনীতির সাময়িক জয়-পরাজয় হতে পারে। তবে চূড়ান্ত সমঝোতা হতে হবে আলোচনার টেবিলে।
সংঘাত তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়লেও কোনো পক্ষই তা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বিরোধীরা ক্রমাগত একে অপরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।
যেখানেই আমরা কথা বলি, সেখানেই রাজনৈতিক উত্তেজনা। দুই দলের নেতারা বক্তৃতায় ক্ষমতা প্রয়োগ করছেন।
শুক্রবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ মহাসচিব ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি একা হামলা করব না। কিন্তু আমি যদি তাদের দ্বারা আক্রান্ত হই, আমাকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। আওয়ামী লীগ জনগণের সঙ্গে এর জবাব দেবে।
শনিবার ছাত্রলীগের এক অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলেন, “মির্জা ফখরুল সাহেব বিরক্ত হয়ে গলা মুছছেন।” কিন্তু মরা নদীতে জোয়ার নেই। যেভাবেই হোক, সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত খেলায় সিদ্ধান্ত হবে। তারপর দেখা যাবে কে হারবে আর কে জিতবে। তারা লাশ রাস্তায় ফেলে দিতে চায়। আপনি লাশ আনলোড করার দুষ্ট চক্রে প্রবেশ করেছেন।
বিএনপির লড়াইয়ে রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী যুবলীগ। জামায়াত-বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে শুক্রবার রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে যুবলীগ।
এ সময় যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে সামস পরশ বিএনপিকে সতর্ক করে বলেন, আজ থেকে তারা মাঠে নামবে। নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে, জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে। জনগণ, প্রতিটি যুবলীগ নেতা রাজপথে থেকে দাঁতভাঙা জবাব দেবেন।
বিএনপির নেতারাও বসে নেই। শুক্রবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “এটা আমাদের শেষ লড়াই। এখন আমাদের জীবন বাঁচাতে লড়তে হবে। হয় জীবন নয় মৃত্যু।”
শনিবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আরেকটি নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসার পরিকল্পনা করছে। এ কারণে তারা আবারও বিরোধী দলকে আক্রমণ করতে থাকে। গুলি, ভাংচুর ও হত্যার মাধ্যমে বিরোধী দলকে মাঠ থেকে সরাতে চায়। আওয়ামী লীগ এককভাবে মাঠে নির্বাচন করতে চায়। এবার আর হবে না। আমরা কোনোভাবেই পরাজিত হব না। কারণ এবার জিততেই হবে, বিকল্প নেই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. একই অনুষ্ঠানে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘সঙ্কট রাজপথেই সমাধান হবে’। আমাদের করতে হবে থম দিন ক্ষমতাসীন ও আইন ব্যবস্থাকারীর জবাবের পক্ষে পড়ে বিএনপি। গভীর আকাশেই ফেনীতে শহিদ চৌধুরী চৌধুরী এ্যানীর বাড়িতে বাড়িতে তৈরি হয়।
আরও বরিশালপুরের মাদারগঞ্জে ও গৌরনদীপুরের মাদারগঞ্জে বলেছে গৌরন কেন্দ্রে শক্তিতে ক্ষমতাসীন পাল্টাপাল্টি পুলিশরা চেষ্টা চালাচ্ছে অভিযোগ অভিযোগ। এদিন সকালের কোম্পানীতে কর্মশালাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের পরের মহিলা পাল মহিলা ও অঙ্গ সংস্থাটি।
মেঘের দিন ফেনী পরশুরাম ও পটুয়াখালী দুমকিতে একই কল দুদলের ক্ষমতার স্থানীয় ক্ষমতা ১৪৪ ধারা জারি করে। ২৪ আগস্ট ঠাকুরগাঁও ও টাঙ্গাইলে সমাবেশ গড়ে তোলা হয়। ব্যবস্থাপক অর্ধশত কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা দেন।
বগুড়া নন্দীগ্রামে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। তবে অব্যাহত অভিযান শুরুর পর ২৬ আগস্ট বাঁশখালি, নোয়াখালীসহ দেশের ১০ জেলায় নিয়ন্ত্রণ করা হয়। প্রচার প্রচার শতাধিক কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা দেন।
২৭ আগস্ট যশোরে সক্রিয় সক্রিয় প্রয়াত সদস্য তরিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাবেরুল ইসলাম সাবু, মিজানুর রহমানের বাড়িতে একযোগে সক্রিয় হয়।
৩০ আগস্ট ফেনীর দাগনভূঁ আয়োজনে যাওয়ার পথে পথ ভাইয়াস আবুল আউয়াল মিন্টুর গাড়িবহরে গড়ে ওঠে। তবে এ পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধের গতিপ্রক্রিয়া ১।
দিন দিন নারায়ণগঞ্জে সেনাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে র্যালিতে যুদ্ধ চালায় আইন নিয়ন্ত্রণকারী ব্যবহার। পুলিশ এগিয়ে হন নেতা নেতা শাও।
শনিবার ঠাকরগাঁও ওশগঞ্জে সন্ত্রাসী আন্দোলন সক্রিয় ক্ষমতা অর্ধতাধিক কর্তৃপক্ষ অনুমতিপ্রাপ্ত হন। পার্টিও ফরিপুর ও বরগুনায় যুদ্ধদহ হয়।
সারাদেশের এমন পরিস্থিতি যতদিন থাকবে সাধারণ মানুষেরেই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। তাই সবাইকে শান্তিশৃঙ্খলা বজায়ে রাখারা অনুরোধ করেছেন অওয়ামী লীগ। দেশের এমন পরিস্থিতিতে সরকারকে সযোগীতা করারও আহ্বান জানান তারা।