আবারও জনসভায় অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার বিকেলে চট্টগ্রামের পলো মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে প্রদান করেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রকে ভয় পায়, তারা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় আসতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যেহেতু তারা নির্বাচনে জিতবে না, তাই তারা এমন কাউকে চায় যে তাদের নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে।
আওয়ামী লীগ প্রধান আরো বলেন, ‘বিএনপির দুই গুণ হলো ভোট চুরি আর মানুষ হ*। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসেন খালেদা জিয়া। কিন্তু বাংলার মানুষ তা মেনে নেয়নি, তাকে ক্ষমতা থেকে টেনে নামিয়েছে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতা-কর্মীকে ‘হ’*’ ‘করেছে। দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এদেশে জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পায় কারণ তারা ভোট চুরি করেছে। আসলে তারা গণতন্ত্রকে ভয় পায়, তারা গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতায় আসতে চায় না। তারা এমন একজনকে চায় যে নির্বাচন ছাড়াই তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে কারণ তারা নির্বাচনে জিতবে না। কিন্তু গণতন্ত্র আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমার দল কল্যাণে কাজ করে, দেশের জন্য কাজ করে। কিন্তু বিএনপির কাজ হচ্ছে মানুষ হ*, জ’ঙ্গি’বা’দ, লুটপাট, টাকা পাচার, মিথ্যা কথা বলে বিভ্রান্ত করা। তারা জনগণের শান্তি চায় না।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী মোটর শোভাযাত্রা বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে নগরীর রেলওয়ে পলো গ্রাউন্ড ময়দানে পৌঁছায়।
আওয়ামী লীগের সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির। ঢাকা থেকে এই সমাবেশে যোগ দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
এদিকে সকাল থেকেই মানুষের ভিড়ে মুখরিত হয়ে ওঠে পলো মাঠ। দুপুর ১টার পর আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠক শুরু হয়। জনসভার মঞ্চ সাজানো হয়েছে নৌকার আদলে। সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রামের বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সেনাপ্রধান এসএম শফিউদ্দিন আহমেদসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান। পরে তিনি বিএমএ-তে ৮৩তম দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের প্রেসিডেন্সিয়াল প্যারেড পরিদর্শন করেন।
এছাড়া তিনি চট্টগ্রামে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
চট্টগ্রাম নগরীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। অনুষ্ঠানস্থল এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন সাড়ে সাত হাজার পুলিশ সদস্য।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে দলের হয়ে শুরু করে দিয়েছেন জনসভা। এর আগে প্রধানমন্ত্রী জনসভা করেন যশোর জেলাতে। জানা গেছে এভাবেই ধাপে ধাপে নির্বাচনের আগে তিনি দেশের বিভাগ গুলোতে করবেন জনসভা।