ওবায়দুল কাদের হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সেতু ও সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী। এই সম্মানীয় পদে অধিষ্ঠিত হবার পর থেকে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে দায়িত্বরত রয়েছেন। ওবায়দুল কাদের তার দায়িত্বের বিষয়ে খুবই যত্নশীল এবং দায়িত্ববাব একজন ব্যক্তিত্ব। সম্প্রতি টিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিই নতজানু, ভঙ্গুর, পরনির্ভর একটি রাজনৈতিক দল।
দেশ পরিচালনায় আওয়ামী লীগের নতজানু হওয়ার নজির নেই বিএনপিকে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা দেশের বিরুদ্ধে বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করেন এবং দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপের অনুরোধ করেন।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি একটি নতজানু, ভঙ্গুর, পরাধীন রাজনৈতিক দল। ওবায়দুল কাদের দাবি করেন, বিএনপি দেশকে পরাধীন দেখতে চায়, নতজানু হয়ে দাস হয়ে থাকতে চায়, আর আওয়ামী লীগ দেশকে একটি মর্যাদাপূর্ণ, সমৃদ্ধিশালী অবস্থানে নিয়ে যেতে চায়।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে বাংলাদেশ প্রতিবাদ জানিয়েছে। সে সময় মিয়ানমার বলেছিল, মর্টার শেল ভুলবশত বাংলাদেশের সীমান্তে পড়ে। ভবিষ্যতে সতর্ক থাকবেন বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছেন তারা। ওবায়দুল কাদের বলেন, একই ঘটনা আবার ঘটায় আন্তর্জাতিক আইন ও প্রটোকলের আলোকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভুলবশত মিয়ানমারের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ বা উস্কানির কারণে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র, এ দেশের প্রতিটি ইঞ্চিই শেখ হাসিনা সরকারের কাছে নিজস্ব অস্তিত্বের মতো। বাংলাদেশ যেকোনো সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। গতকাল লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ বিষয়ে কথা বলেছেন, এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের মানুষ এখনো নানা অপকর্মে বিএনপির ওপর ক্ষুব্ধ, তারা আবারও সন্ত্রাসের পথে হাঁটছে, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উস্কানি ও পুলিশকে উসকানি দিচ্ছে। বিএনপি নেতারা একদিকে বলছেন, তাদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, সুযোগ পেলেই পুলিশকে টার্গেট করে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি না করে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিচ্ছে, বিএনপিকে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
প্রসঙ্গত, বিএনপি হলো বাংলাদেশের সাবেক ক্ষমটাসীন দল। এই দলের চেয়ারপারসন ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি অসুস্থয় হয়ে পরার কারণে দলের দায়িত্ব নেন তারই বড় ছেলে তারেক রহমান। আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলটির নেতা কর্মীরা নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে তাদের কর্মসূচী পালন করে যাচ্ছেন। বিএনপি আশা প্রকাশ করেছে যে তারা যেকরেই হোক নির্বাচনে জয়ী হবে।