Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বিএনপির জয়ের পর সরকার প্রধান হওয়া নিয়ে প্রশ্ন রাখলেন প্রধানমন্ত্রী

বিএনপির জয়ের পর সরকার প্রধান হওয়া নিয়ে প্রশ্ন রাখলেন প্রধানমন্ত্রী

২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুনের যেকোনো সময় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের দল গোছানোর কাজ বেশ পরিকল্পিতভাবে করে চলেছে। তবে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতৃত্বে কে আসবেন সে বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বিএনপি’র পরবর্তী নেতৃত্বে কে আসবেন বা সরকার প্রধান হিসেবে কে আসবেন সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো দল নির্বাচনে অংশ নিতে এবং জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে হলে সেই দল নির্বাচনে জয়ী হলে তাদের সরকার প্রধান কে হবেন তা দেখাতে হবে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি যে অংশ নেবে তারা কাকে দেখাবে?

বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা এ প্রশ্ন করেন।

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দলটির নেতৃত্ব কার হাতে এবং কে নেতা? ওরা ইলেকশন করবে কী নিয়ে, পুঁজি কী? বিএনপির কি একটাও যোগ্য নেতা নেই যাকে তারা চেয়ারম্যান করতে পারে’?

প্রধানমন্ত্রী পাল্টা প্রশ্নে বলেন, “তাদের জন্য কান্নাকাটি করে কোনো লাভ নেই। বলতে পারবেন তারা কাকে নিয়ে ভোট করবেন?’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ একটি প্রাচীন দল। সাধারণ মানুষ এই দল গঠন করেছে। আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ দলের জন্মস্থান কোথায়? মূল একটি দল হলো বিএনপি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা একজন স্বৈরশাসক। তিনি খুনি মোশতাকের সাথে করমর্দন করেন। জাতির পিতাকে হ/”ত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি আইয়ুব খানের পদাঙ্ক অনুসরণ করেন। তিনি কারফিউ গণতন্ত্র দিয়েছেন। তার হাতে তৈরী হওয়া দল বিএনপি। আরেকটি দল জাতীয় পার্টিও একইভাবে স্বৈরশাসক দ্বারা গঠিত হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী আরো প্রশ্ন করেন, “যে দলগুলো তৃণমূল থেকে উঠে আসেনি তাদের কাছ থেকে কী আশা করা যায়?” দলকে নেতৃত্ব দেয় কে? একজন আত্মসাৎকারী, দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। বয়স বিবেচনায় নির্বাহী ক্ষমতা থাকায় সাজা স্থগিত করে বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছি। আরেকজন ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও পলাতক।’

শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৭ সালের নির্বাচনে বিএনপি প্রতিদিন তিনবার প্রতিটি আসনে তাদের প্রার্থী পরিবর্তন করে। ঢাকা থেকে একজন ঠিক হয়। আবার লন্ডন থেকে আরেকজন। যারা যত বেশি টাকা দিয়েছেন, তাদের মনোনয়ন দিয়েছেন। তারা মাঝপথে নির্বাচন ছেড়ে চলে যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন কেউ মাঝপথে নির্বাচন ছেড়ে চলে যায়, তখন মাঠ ফাঁকা থাকে। বাকিরা যা খুশি তাই করতে পারে। এটা আওয়ামী লীগের দোষ নয়। বিএনপি ক্ষমতায় এলে সরকার প্রধান কাকে বানাবেন?

শেখ হাসিনা বলেন, ‘নির্বাচনে কোনো দল জিতলে সরকারপ্রধান কে হবেন তা আগেই বিবেচনা করা হয়। তারা যে নির্বাচন করবে, তাতে কাকে দেখাবে? সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে কী সরকার প্রধান করবে? সে তো বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বাতিল করে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। একজন দণ্ডিত অপরাধী ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেতে কত খরচ হয়েছে তা খুঁজে বের করুন। এখানে গণতন্ত্রের দোষ কোথায়?’

বিএনপি সভাপতি বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বাসায় রয়েছেন। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন ধরনের অসুখে ভুগছেন। তাছাড়া কিছুদিন আগে তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে এবং চিকিৎসকেরা তার হার্টে রিং বসিয়েছে। এদিক থেকে তিনি আদৌ নির্বাচনে নেতৃত্ব দিতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। অপরদিকে খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান মামলার আসামি হয়ে বিদেশে অবস্থান করছেন, যার কারনে নেতৃত্ব সংকটে দলটি।

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *