দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনসহ সার্বিক রাজনৈতিক ইস্যুতে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার চার মাস পার হয়ে গেছে। তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে অন্তত ৩০টি বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে গোপন আলোচনা করেও দলটির নীতিনির্ধারকরা প্রক্রিয়াটি দৃশ্যমান করতে পারেননি। এ ছাড়া ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ইস্যুতে বিএনপির ( BNP ) স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে বিভক্তি রয়েছে। কমিটির কয়েকজন সদস্য এখনো জোট টিকিয়ে রাখার পক্ষে। তবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি বিএনপির ( BNP ) শীর্ষ নেতৃত্ব।
বিএনপির ( BNP ) রাজনীতিতে তারা একসময় দাপুটে ছিল, এখন কোণ ঠাসা হয়ে গেছে এবং দলের চিত্রের বাইরে। তবুও তাদের কেউ মূল্যায়নের প্রত্যাশা করেন, আবার কেউ কেউ দায়িত্ব পেতে দলকে দিতে চান। কেউ আইনি সমস্যা মোকাবিলার পাশাপাশি নিজ এলাকায় সময় দিচ্ছেন, আবার কেউ জনগণের ভালোবাসাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। এহসানুল হক মিলন, মজিবুর রহমান সরোয়ার, নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও মিজানুর রহমান মিনু ( Mizanur Rahman Minu ) এই চার নেতা বিএনপির ( BNP ) রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য হলেও এখন লাইমলাইটের বাইরে।
কঠিন সময়ে এই নেতারা কার্যত দলে কোণঠাসা। কেন্দ্র থেকে যথাযথ সম্মান পাওয়া তো দূরের কথা, পদত্যাগ ও পদ হারানোর মতো ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাদের। কেন তাদের ভাগ্য? এর সুস্পষ্ট কারণ কেউ জানে না। এ নিয়ে তাদের আক্ষেপ আছে, অহংকার আছে। আবার কারো কোনো প্রত্যাশা নেই। আপনি প্রাপ্ত মূল্যায়ন সঙ্গে সন্তুষ্ট। আবার কেউ দলকে মূল্যায়ন করার আশা অব্যাহত রেখেছেন। এহসানুল হক সপ্তাহে দুই দিন আদালতে ধর্না ও দুই দিন বিশ্রাম নিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন। বাকি দিনটা তিনি চাঁদপুরের কচুয়ায় কাটিয়েছেন।
উল্লেখ্য, খুব তারাতারি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনায় বসবেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। সম্প্রতি ৩টি দলকে পৃথকভাবে পুরো কার্যকলাপের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এমনটাই জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে একটি দলে একাধিক শরিক ও একটি নতুন দল, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে একটি দল এবং ঐক্যফ্রন্টের একাধিক শরিক এবং আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং আরেকটি দল রয়েছে। বাম ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলোর নেতৃত্বে আলোচনা হয়েছে।