এ্যানিকে নির্যাতনের কথা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাকে জানিয়েছেন বিএনপি। শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও দলের মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব।
শনিবার বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদের নেতৃত্বে বিএনপির মানবাধিকার টিম এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে পাঠিয়েছে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে মধ্যরাতে বাড়ির দরজা ভেঙে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। তিনি দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাকে গ্রেফতারি পরোয়ানা দেখানো হয়নি। দরজা ভেঙে মধ্যরাতে কাউকে গ্রেপ্তার করা অনুমতি আইনে নেই। তাকে মা”রাত্মকভাবে নির্যাতন করা হয়েছিল, তার মুখে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গ্রেপ্তারের পরদিন শহীদ উদ্দিন চৌধুরী আদালতে বলেন, ‘আমি দুইবার সংসদ সদস্য ছিলাম। বাসায় ভাঙচুর করা হয়েছে। বাসায় আমার বাচ্চা ছিল। দরজা ভেঙে আমাকে টেনেহিঁচড়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি চোরও নই, ডাকাতও নই। থানায় নিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ আমাকে মা”রধর করে। শহিদ উদ্দিন আদালতকে আরও বলেন, পুলিশের কি কারো গায়ে হাত তোলার অধিকার আছে? পুলিশ আমাকে নির্যাতন করেছে। মানুষ এভাবে চোর-ডাকাতকেও মারতে পারে না।’ পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও, অ্যানিকে আদালতে আনা হলে ম্যাজিস্ট্রেট ৪ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন, যা ফ্যাসিবাদীদের নির্দেশে অকার্যকর বিচার ব্যবস্থার উদাহরণ।’
এতে আরও জানানো হয়, ‘সরকার দেশে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। দেশের মানুষ যখন ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরোধিতা করছে, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করছে, তখন পুলিশ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার-নির্যা”তন করছে। যা সম্পূর্ণ অবৈধ। এ রিপোর্ট লেখার সময় এ্যানিকে কারাগারে ডিভিশন দেওয়া হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থায় পাঠানো চিঠির সঙ্গে অ্যানিকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।