Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের দেওয়া হচ্ছে জেলার দায়িত্ব, কোন নেতা কোন জেলার দায়িত্ব পাচ্ছেন

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের দেওয়া হচ্ছে জেলার দায়িত্ব, কোন নেতা কোন জেলার দায়িত্ব পাচ্ছেন

বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবং বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে নানা ধরনের কৌশল নিচ্ছে। তবে বিএনপির আন্দোলন জোরদার করতে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী এবং সুসংগঠিত করার জন্য মাঠে নামার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে এবার শীর্ষ নেতারা মাঠে থাকবে, এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে দলটি। এখন থেকে শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা প্রতিটি জেলা পর্যায়ে গিয়ে আন্দোলনের জন্য কাজ করবেন। তারা ১০-দফা আন্দোলন এবং রাষ্ট্রীয় রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখা বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ শুরু করছে।

কে কোন সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বে থাকবে তাও নির্ধারণ করা হয়েছে।

রোববার দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে পাঠানো এক নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি জেলা/মহানগরের জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারাও এ কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।

সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা/মহানগর কমিটির সকল নেতা, উপজেলা ও পৌর ইউনিটের ৫ জন শীর্ষ নেতা। এছাড়াও জেলা/মহানগর এবং সকল সহযোগী সংগঠনের পেশাজীবী সংগঠন থেকে ৫ জন প্রতিনিধি থাকবেন।

বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দায়িত্বশীল কেন্দ্রীয় নেতা এবং সংশ্লিষ্ট জেলা/মহানগর নেতাদের সাথে সামগ্রিক কর্মসূচির সমন্বয় করবেন। তারাও উপস্থিত থাকবেন।

সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় নেতারা: এতে প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। ৩ জানুয়ারি মানিকগঞ্জে থাকবেন ড. আব্দুল মঈন খান, ঠাকুরগাঁওয়ে নজরুল ইসলাম খান, জামালপুরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ফেনীতে মো. শাহজাহান ও ঝিনাইদহে নিতাই রায় চৌধুরী। ৪ জানুয়ারি নীলফামারী ও সৈয়দপুরে নজরুল ইসলাম খান, লক্ষ্মীপুরে বরকতউল্লাহ বুলু, নওগাঁয় রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও শেরপুরে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। ৫ জানুয়ারি সিলেট জেলা ও মহানগরে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

নরসিংদীতে আবদুল্লাহ আল নোমান, টাঙ্গাইলে মো. শাহজাহান, পাবনায় আব্দুল আউয়াল মিন্টু, দিনাজপুরে ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বরগুনায় অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, খাগড়াছড়িতে আবুল খায়ের ভূঁইয়া ও জয়পুরহাটে ড. মামুন আহমেদ।

৬ জানুয়ারি পটুয়াখালীতে ব্যারিষ্টার শাহজাহান ওমর, হবিগঞ্জে ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, নড়াইলে নিতাই রায় চৌধুরী, গাজীপুর মহানগরে আমান উল্লাহ আমান, নাটোরে মিজানুর রহমান মিনু, রাজবাড়ীতে ইসমাইল হোসেন জবিউল্লাহ, মুন্সীগঞ্জে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাবিব উন নবী খান সোহেল ও রাঙামাটিতে মাহবুবের রহমান শামীম।

৭ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দক্ষিণে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মাগুরায় বরকতউল্লাহ বুলু, মৌলভীবাজারে ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, কুষ্টিয়ায় শামসুজ্জামান দুদু, সাতক্ষীরায় আহমদ আযম খান, বাগেরহাটে নিতাই রায় চৌধুরী, ফরিদপুর জেলা ও মহানগরে অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আবুল খায়ের ভূঁইয়া, চুয়াডাঙ্গায় জয়নাল আবেদীন ফারুক, চাঁদপুরে মনিরুল হক চৌধুরী, নেত্রকোনায় অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, ভোলায় বিলকিস জাহান শিরিন ও বান্দরবানে ড. আসাদুজ্জামান রিপন।

৮ জানুয়ারি কুমিল্লা মহানগর, দক্ষিণ ও উত্তর জেলায় নজরুল ইসলাম খান, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বগুড়ায় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, কিশোরগঞ্জে আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মাদারীপুরে শাহাজাদা মিয়া, কক্সবাজারে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও গাজীপুর জেলায় আব্দুস সালাম আজাদ।

৯ জানুয়ারি ঢাকা জেলায় বেগম সেলিমা রহমান, সিরাজগঞ্জে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ঝালকাঠিতে এয়ায় ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, লালমনিরহাটে শামসুজ্জামান দুদু, কুড়িগ্রামে আব্দুল হাই শিকদার, সুনামগঞ্জে খন্দকার আব্দুল মোক্তাদির, পিরোজপুরে হাবিব উন নবী খান সোহেল, গাইবান্ধায় হারুন অর রশিদ, শরীয়তপুরে শামা ওবায়েদ ও মেহেরপুরে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। ১০ জানুয়ারি পঞ্চগড়ে থাকবেন আসাদুল হাবিব দুলু এবং রাজশাহী জেলা ও মহানগরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

নির্দেশনা অনুযায়ী, এই নেতারা স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সমন্বয়ে দল গঠন করবেন এবং এরপর আন্দোলনের ১০ দফা ও রাষ্ট্রের মেরামতের ২৭ দফার লিফলেট ও বুকলেট বিতরণ করবেন। তারা সরকারি/বেসরকারি কর্মকর্তা (ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসি ইত্যাদি), সুশীল সমাজ, পেশাজীবী (সাংবাদিক, শিক্ষক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, কৃষিবিদ, প্রকৌশলী, ডাক্তার, ধর্মীয় নেতা, সাংস্কৃতিক কর্মী, মানবাধিকার কর্মী) এবং অপরাপর দলসহ অন্যদের মধ্যে তা বিতরণ করবেন। এবং এই লিফলেট এবং বুকলেটগুলি ১০ দিনের মধ্যে বিতরন করতে হবে।

উল্লেখ্য, বিএনপি বিভাগীয় শহরগুলোর গণসমাবেশ করার পর চূড়ান্ত আন্দোলনের পরিকল্পনা গ্রহণ করলেও তেমনভাবে বিএনপি রাজপথে নামতে পারছে না। কারণ হিসেবে যেটা সামনে আসছে তা হলো- বিএনপি’র যে সকল শীর্ষ নেতারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিবেন তারা বর্তমানে কারাগারে অন্তরীণ রয়েছেন। সেদিক থেকে বিএনপি এখন তৃণমূল পর্যায়ে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য নেতাকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করতে শীর্ষ নেতাদের জেলায় জেলায় কাজ করার কৌশল হাতে নিয়েছে।

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *