নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোকে মাঠে সক্রিয় হতে দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র বিএনপি ও আওয়ামীলীগ বিপরিত মুখি অবস্থান নিয়েছেন। বিএনপি নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচন যাবে না আন্দোলন মাধ্যমে তারা দাবি আদায় করবে বলে মাঠে বিভিন্ন কমৃসূচি পালন করছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আন্দোলন নামে বিএনপি ধ্বংস কার্যক্রম চালালে তাদের প্রতিহত করা হবে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠন গুলোকে ভিন্ন কর্মকান্ড করতে দেখা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস একরকম, পুলিশের আচরণ অন্যরকম মন্তব্য করে যা বললেন বিএনপি সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
বিএনপির কর্মসূচিতে ‘হা/মলার ঘটনার’ প্রতিবাদ জানিয়ে দলটির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছিলেন, বিরোধী দলের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হবে না। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের আচরণ আরেক রকম। প্রধানমন্ত্রী এক ধরনের আশ্বাস দিচ্ছেন। আর যুবলীগ, ছাত্রলীগের কর্মীরা বিরোধী দলের সঙ্গে অন্যরকম আচরণ করছে।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দেওয়া বক্তব্যে রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন।
বিএনপির কর্মসূচি ঠেকাতে আওয়ামী লীগ কেন মাঠে নামছে এমন প্রশ্নে রুমিন বলেন, আওয়ামী লীগ বলছে তারা নাশকতা ঠেকাতে মাঠে নেমেছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নাশকতা ঠেকাতে মাঠে নামলে পুলিশ প্রশাসনের পুষে কী লাভ?
তিনি বলেন, সরকার দাবি করে দেশে গণতন্ত্র আছে; যদি তর্কের খাতিরে ধরে নিই দেশে গণতন্ত্র আছে, তাহলে প্রশ্ন করি, এত ভয় কেন? প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে বিরোধী দল। চলছে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ও মিছিল। এটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। সেইটুকু সহ্য করবার সাহস ও মুরোদ যদি না থাকে রাজনীতি ছেড়ে দেন। পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে আর কত দিন রাজনীতি করবেন? আর কত দিন বিরোধী দলকে দমন করে রাজনীতি করবেন?’
বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, সরকার যদি মনে করে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের কায়দায় খেলা হবে বলে অন্ধকারে কিংবা খেলা হবে বলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা- তাহলে ভুল হবে।
ভোলায় বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সং/ঘর্ষে দলের দুই সদস্যের মৃ/ত্যুর ঘটনা তুলে ধরে রুমিন বলেন, ওই হ/ত্যাকাণ্ডের কোনো তদন্ত হয়নি। কিন্তু বরগুনায় শৃঙ্খলা ভঙ্গের ঘটনায় ছাত্রলীগের ওপর পুলিশের লাঠির বাড়ি পড়ার আগেই বদলি করা হয়েছে পুলিশকে। তিনি দাবি করেন, ২২ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া বিএনপির কর্মসূচিতে ৭০টির বেশি স্থানে হা/মলা হয়েছে।
রুমিনের বক্তব্যের জবাব দেন সরকারি দলের সিনিয়র সংসদ সদস্য ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছিলেন যে তিনি সাধারণত পয়েন্ট অফ অর্ডারে দাঁড়ান না। তবে তার জন্মস্থান ভোলা। অনেকেই আসল ঘটনা জানেন না। ওইদিন মিছিল শুরুর আগে বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশের ওপর হা/মলা চালায়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেদিন মাঠে নামেননি। ২০০১ সালের নির্বাচনের পর ভোলায় ঘরে থাকতে পারেনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তোফায়েল বলেন, তিনি রুমিন ফারহানাকে স্নেহ করেন। কিন্তু রুমিন এমনভাবে কথা বলে যেন ঝগড়া করতে এসেছে। একতরফা বক্তব্য দেওয়া ঠিক নয়। শান্ত মেজাজে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন।
প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্বশীল আচারন করছে না এমন মন্তব্য করেন বিএনপি সাংসদ রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, বর্তমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দলীয় ক্যাডারদের ভূমিকা নিচ্ছেন।