Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বিএনপির একের পর এক পদক্ষেপ, নিয়ে যাচ্ছে লক্ষ্যে

বিএনপির একের পর এক পদক্ষেপ, নিয়ে যাচ্ছে লক্ষ্যে

বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দল হিসেবে বিএনপির অংশগ্রহণের জন্য যে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা এখন অনেকটাই স্পষ্ট। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার যিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় বিএনপির দ্বিধাদন্ধে পড়া নেতাকর্মীরা এখন নতুন করে চমকের পর চমক দেখাচ্ছেন।

নির্বাচনী ইস্যুতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া বিএনপির বাকি চার নেতা যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিল তারা সবাই তৈমুরকে সমর্থন করেছেন এবং নেতা-কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ততা দেখে কেন্দ্রীয় বিএনপির পক্ষ থেকে এখন আর কোনো বাধা নেই বলে দাবি করেন তারা।

বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের সমর্থকরা বলছেন, নাসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৫ বছর পর ১৬ ডিসেম্বর ব্যাপকভাবে শোডাউন ছিল কেন্দ্রের জন্য প্রথম একটি চমক। সমাবেশে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।

তবে সবচেয়ে বড় চমক এখন কোন্দল আর বিভেদকে ভুলে দলের সকল মেরুর নেতারা তৈমুরের পেছনে। গত ২ যুগ ধরে জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে যে কোন্দল বিভাজন খোদ কেন্দ্রীয় নেতারা সমাধান করতে পারেননি, সেই কোন্দল শুধুমাত্র তৈমুর আলম খন্দকারের নির্বাচনকে ঘিরে শেষ হয়ে গেছে।

কর্মী সমর্থকরা বলছেন, মার্কা বা প্রতীক পাওয়ার পর কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা নারায়ণগঞ্জে প্রচারণায় অংশ নিতে আসবেন।

এদিকে অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি ও নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় নেতা এসএম আকরাম। রোববার বন্দরের কদম রসূল (সা:) দরগাহ জিয়ারতে গেলে তৈমুর আলমের সঙ্গে সেখানে যোগ দেন এস এম আকরাম। তার সমর্থনের বিষয়টি এই নির্বাচনে তৈমুর আলম খন্দকারের জন্য সাপে বর হয়েছে বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা।

রোববার বিকালে বন্দরের কদমরসূল দরগাহে দোয়া ও জিয়ারতের পর স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, আমার চেহারায় ধানের শীষ ভেসে উঠে, আমার চেহারায় ৭৭ বছর বয়সী এক নেত্রীর চেহারা ভেসে উঠে, যিনি এ রাষ্ট্রের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। সেই নেত্রীকে আজ অসুস্থ অবস্থায় মৃ’ত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার।

তিনি আরও বলেন, আমার চেহারায় ভেসে উঠে একজন নির্যাতিত মানুষের চেহারা যিনি দেশের গণতন্ত্রের জন্য দলের কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে বার বার পুলিশের নি’র্যা/তনের শি’কার হয়েছেন। আজ আমার পাশে সবাই এসেছেন। এই নির্বাচনে যদি কোনো ধরনের কারচুপি সরকার করে তাহলে এই নারায়ণগঞ্জ থেকে শুরু হবে সরকারের পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন।

“এটি জনগণ বনাম যারা একনায়কতন্ত্র কায়েম করছে তাদের মধ্যকার আন্দোলন,” এমনটি বলেন তৈমুর। দেশের জনগন একনায়কতন্ত্রের থেকে নিজেদের বাঁচাতে চায়। নারায়ণগঞ্জের মানুষ বড় ধরনের একটি পরিবর্তন চায়, করের বোঝা থেকে বাঁচতে চায়, তারা সবকিছুর উপরে নাগরিক অধিকার চায়। নারায়ণগঞ্জের সিটি নির্বাচন হবে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রতীকী আন্দোলন।

তিনি বলেন, জনগণ আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ জনমত যদি সৃষ্টি হয় সেটার সামনে বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়াতে পারে না। সময় হলে আরো কিছু পরিবর্তন আপনারা দেখতে পাবেন। নারায়ণগঞ্জের নাগরিক যারা তাদের মধ্যে ঐক্যতা গড়ে উঠছে। সেই নাগরিকদের নিয়ে একটি কমিটি হবে। ওই কমিটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনা করবে।

About

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *