মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া হলেন বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একজন প্রবীণ রাজনীতিবীদ এবং এছাড়াও তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বাংলাদেশ সরকার স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অসীম সাহসিকতার জন্য তাকে বীর বিক্রম উপাধী দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন বিএনপি যাতে মাঠে নামতে না পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
বন্যার পর আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতন করা হবে বলে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। তিনি বলেন, বন্যার পর বিএনপি নেতাদের যাতে রাস্তায় দেখা না যায় সে ব্যবস্থা করতে হবে।
মায়া বলেন, “আপনি বলেছিলেন বন্যার পর সরকার উচ্ছেদ করবে।” কি বোকা! বলা উচিত ছিল বন্যার পর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াব। এদিকে সরকার ও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা বন্যা কবলিত মানুষের পাশে গিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করছেন। আর টেলিভিশনে কী সমালোচনা করবেন তিনি বলেন, অনেক ধান নিয়ে বন্যার্তদের কাছে গিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ৭৫টি ওয়ার্ডের নবগঠিত ইউনিট কমিটির সূচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা এদেশে থাকতে পারবে না। বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের কোনো স্থান নেই। এ দেশ মুক্তিযোদ্ধাদের দেশ, বঙ্গবন্ধুর দেশ, শেখ হাসিনার দেশ।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকার দায়ী থাকবে। আপনি আপনার নেতার জন্য কিছুই করতে পারবেন না, সরকারের উপর দায় চাপান। কৌতুকপূর্ণ হবেন না. যাই ঘটুক রাজপথেই মোকাবেলা করা হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মোন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আবদুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেনসহ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, বিএনপি বাংলাদেশের অন্যতম একটি রাজনৈতিক দল। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা হলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়াউর রহমান। বর্তমানে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হলো তারেক জিয়া। তবে তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে পরিবারসহ লন্ডনে বসবাসরত আছেন।