প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলনের নামে স/হিংসতার করলে কোনো ক্ষমা নেই।
সোমবার (২ অক্টোবর) লন্ডনের হোটেল তাজে প্রবাসীদের আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে আন্দোলনের নামে জনগণের ওপর হা/মলা করলে ছাড় দেওয়া হবে না। কারণ, তথাকথিত আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত জোট অতীতে যাত্রীবাহী বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ বহু ধরনের যানবাহনে আ/গুন দিয়ে মানুষ হ/ত্যা করেছে।
তিনি বলেন, ২০১৩-১৪ সালে তারা সারাদেশে তাণ্ডব চালায়। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নারীসহ বহু মানুষ মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয়ে আহত হয়ে অমানবিক জীবনযাপন করছেন।
সরকারপ্রধান বলেন, আন্দোলনে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আন্দোলনের নামে অ/গ্নিসংযোগ করে মানুষ হ/ত্যা ও দেশের সম্পদ ধ্বং/স হলে কোনো ক্ষমা হবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্রের কথা বলা বিএনপির শোভা পায় না। কারণ তারা জনগণের সঙ্গে ধোঁকাবাজি খেলেছে। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি প্রহসনমূলক নির্বাচন পরিচালনা করে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার দেড় মাসের মধ্যে দেশের জনগণ তাদের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোটার তালিকা তৈরি করে এবং সেই তালিকা দিয়ে নির্বাচন করার চেষ্টা করে। দেশের জনগণ ভোট কারচুপিকারীদের ক্ষমতায় আসতে দেবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করে আসছেন। তাদের অনেকেই প্রাণ উৎসর্গ করেছেন।
তিনি বলেন, সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। এ জন্য আইন প্রণয়নের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে সব ধরনের সংস্কার করা হয়েছে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স চালু করা হয়েছে এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য আন্দোলন করছে বিএনপি। তাকে বিদেশে পাঠানোর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে সাজা স্থগিত করেছি এবং তাকে বাড়িতে থাকার অনুমতি দিয়েছি। আইন অনুযায়ী আমি যা করতে পারি তাই করেছি।
তিনি বলেন, খাদ্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভরতা কমাতে এক ইঞ্চি জমিও ছাড় দেওয়া যাবে না। উৎপাদনের জন্য প্রতি ইঞ্চি জমি ব্যবহার করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল ও ডিজিটাল দেশে রূপান্তর করেছে এবং এখন ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে।
এ সময় সরকারপ্রধান প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান।