বর্তমান ক্ষমতাসীন দলকে সরকারের গদি থেকে হটাতে বিএনপি বিভিন্ন দলের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে এবং দেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে আন্দোলন বেগবান করার জন্য তৃণমূল নেতাকর্মীদের নির্দেশনা প্রদান করেছে। এদিকে বিএনপির শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে একযোগে আন্দোলনে আমার জন্য বৈঠকে বসছে এবং নানা কৌশল চূড়ান্ত করছে।
২০ দলীয় জোটের শরিক মুসলিম লীগ এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে একযোগে আন্দোলনে বিএনপির সাথে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। সোমবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে পৃথকভাবে এই দুই দলের বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনির্বাচিত সরকার অপসারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্বিতীয় দফা সংলাপ চলছে। এই আলোচনায় গণআন্দোলনের বিষয়গুলো নির্ধারণের বিষয় রয়েছে। এসব দফার মধ্যে খালেদা জিয়ার মুক্তি, রাজনৈতিক কারণে কারাব”ন্দিদের মুক্তি, ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, তত্ত্বাবধায়কের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার মৌলিক দাবিতে একমত হয়েছেন তারা। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়েও কথা বলে ঐক্যমতে পৌছেছেন তারা।
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে আন্দোলনের নেতৃত্বে বিষয়ে আমান উল্লাহ আমানের বক্তব্য নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে দলটির মধ্যে। যেখানে তিনি তার বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আন্দোলনের নেতৃত্ব দেবেন এমনটাই জানিয়েছেন। তবে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানোর একমাত্র উপায় হিসেবে দেখছে বিএনপি বর্তমান নেতাকর্মীরা।