প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলাসহ নাশকতার চার মামলায় ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে নিপুনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
শুনানিতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হাম”লার ঘটনা নিন্দনীয়। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। তবে নিপুণ রায়ের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই, তাকে শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে হয়রানির মামলায় আসামি করা হয়েছে। পরে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া আগাম জামিন বহাল রেখে নিপুণ রায় চৌধুরীকে আদেশ দেন।
এ সময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, প্রধান বিচারপতিসহ বিচারপতিদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে, যার একপক্ষ নিন্দা করছে, অন্যদিকে ষড়যন্ত্র খুঁজছে। বিএনপির আইনজীবীরা আদালত ও বিচারকদের ব্যাপারে সতর্ক না হলে অন্যরাও একই পথ অনুসরণ করবে।
শুনানি শেষে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা প্রথম দিনেই আদালতের কাছে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়েছি। তবে আমরা শুধু পুলিশকেই নয়, সুপ্রিম কোর্টের একজন সাবেক বিচারপতিকেও তদন্ত কমিটিতে রাখতে বলেছি। জাতিও জানতে চায় কারা এমন জঘন্য কাজ করেছে। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি নেতা-কর্মীদের হয়রানির উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাং”চুর করা হয়।
এ সময় ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেভাবে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে মামলা করছে, তাতে বোঝা যায়, বিরোধী দলকে হ”ত্যার জন্য রাষ্ট্রের সব মেকানিজম কাজ করছে। দেখবেন বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী কারাগারে মা”রা গেছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর নিপুণ রায় চৌধুরীকে হাইকোর্ট আগাম জামিন দেন। তাকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত আগাম জামিন দেওয়া হয়। ওই সময় তাকে নিম্ন আদালতে হাজির হতে বলা হয়। হাইকোর্টের বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় দায়ের করা সাতটি এবং দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন।