মানুষের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি দলীয় কার্যক্রম চালাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রতিবছর খরচ করে থাকেন তবে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ কোথা থেকে আসে সে বিষয় নিয়েও আলোচনা চলে এদিকে বিএনপি অর্থের যোগান নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বললেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি অর্থের যোগানদাতা হিসেবে একটি পাকিস্তানি একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
গোয়েন্দা সংস্থার নাম উল্লেখ না করে তথ্যমন্ত্রী পাকিস্তানের আইএস”আইয়ের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আমি আগেও বলেছি বিএনপি বিভাগীয় সমাবেশের নামে চাঁদাবাজির বিশাল প্রকল্প নিয়েছে। তারা সমস্ত কালো টাকার মালিকদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে, ব্যবসায়ীদের টাকা দিতে বাধ্য করছে এবং আমি শুনেছি যে একটি গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকেও তাদের অর্থায়ন করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়া এই গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন, ওই সংস্থার প্রধান তাদের দেশের আদালতে বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আমি জানতে পেরেছি যে তারা ওই বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা থেকে অর্থায়নও করেছে।
আলোচনায় রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে সৃষ্ট সংঘাতের কথাও উঠে এসেছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী খোলাখুলি বলেছেন, আমরা যু”দ্ধ চাই না। এটা কারো জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না। একই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞাও কারও জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানিয়েছি। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম যু’দ্ধ কবে শেষ হবে। তিনি বলেছিলেন, তিনি আশা করছেন এটি শীঘ্রই শেষ হবে। আমি তাকে বলেছিলাম যে যু”দ্ধ শেষ হলে সবার জন্য ভালো হবে। তিনি আশার কথা বলেছেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমি বললাম, সব কিছুর দাম বেড়েছে। বিশ্বের সব দেশেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। শুধু যে তাদের অঞ্চলে কষ্ট হচ্ছে তা নয়। সারা বিশ্বে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। এতে তিনি দ্বিমত পোষণ করেননি।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমি বলেছিলাম যে সকল ধরনের পণ্য দ্রব্য এবং সেইসাথে তেল এবং অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। পৃথিবীর সকল দেশে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। শুধু যে সেই অঞ্চলটিতে যারা বসবাস করছেন তাদের কষ্ট হচ্ছে না। সমগ্র বিশ্বের মানুষ আজ দুর্ভোগের পতিত হয়েছে । এটা বলার পর তিনি দ্বিমত জানাননি।