আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা চলছে। তবে বিরোধী দল বিএনপি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে তারা অনড়। কিন্তু আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সংবিধানের বাহিরে নির্বাচন সম্ভব নয়। বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের দাবি রাজ পথে আন্দোলনে মাধ্যমে আদায়ের করে নেওয়ার কথা জানান। আর এ দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর চা খাওয়ানোর প্রসঙ্গে যা বললেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘হঠাৎ করে বিএনপিকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নরম সুরে কথা বলছেন, চায়ের দাওয়াত দিচ্ছেন—এসব স্বাভাবিক বিষয় না। এর ভেতর নতুন ষ/ড়যন্ত্র রয়েছে।’
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী উলামা দলের প্রতিবাদ সমাবেশে রিজভী এসব কথা বলেন।
‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে এলে বিএনপিকে চা পরিবেশন করব’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রসঙ্গে রিজভী আরও বলেন, ‘আপনার চায়ের দাওয়াত…সেই চায়ের মধ্যে কী থাকবে, এটা জনগণের মধ্যে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। শেখ হাসিনার সেই চায়ের দাওয়াতের মধ্যে মানুষের প্রশ্ন যে, বিরোধীদলকে ডেকে উনি কী খাওয়াবেন? এর মধ্যে কী দেবেন? ধুতুরার ফুল থাকবে নাকি হেমলকের রস থাকবে, এ নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে।’
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে ঘেরাও কর্মসূচি করলে চায়ের দাওয়াত দেব’’- হঠাৎ আপনার গলার সুর এত নরম কেন? এটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার। আপনার কণ্ঠের সুর যখনক্ষীণ হয়, তখন বোঝা যায় বিরোধী দলের ওপর আরো ভয়ানক অত্যাচার নেমে আসছে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘আপনি আগে বলেছেন বিএনপিকে মামলার কাগজ পাঠান। এরপর আমরা দেখেছি, মারা যাওয়া বিএনপি নেতার লাশের নামে, যিনি হজ করতে গেছেন তাঁর নামে, যিনি হাসপাতালে চিকিৎসারত আছেন তাঁর নামে, আরও মামলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনি লুটপাট করছেন। আপনার রাষ্ট্রীয় অর্থনীতি জনগণের টাকা। আপনার কোনো মায়া-মমতা নেই প্রধানমন্ত্রী। আপনার সাধারণ সম্পাদককে দিয়ে বলাচ্ছেন দেশে কোনো সংকট নেই।
রিজভী বলেন, ‘নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার কী তা জানতে দেশের জনগণের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নেওয়ার দরকার নেই, কোনো ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার দরকার নেই। ওবায়দুল কাদের ও শেখ হাসিনা যে যে দৃষ্টান্ত দিয়েছেন এ দৃষ্টান্তই হচ্ছে বিরাট শিক্ষা।’।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম, তাঁতীদল নেতা কাজী মনিরুজ্জামান ও নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী চা খাওয়ার আমন্ত্রনে নতুন কোন ষড়যন্ত্রের আভাসের কথা জানান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। হঠাৎ করে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের বিষয়ে নিয়ে বিএনপির নেতার নতুন কিছু ঘটার সম্ভবনার কথা জানালেন।