সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ঘেরাওয়ের কথা বলেন বিএনপির এক নেতা। তিনি বাংলাদেশ শ্রীলংকার মতো পরিস্থিতি হবে এমন বিষয় তুলে ধরে এই ধরনের বক্তব্য দেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জবাব দিয়ে বলেন, বিএনপি যদি সুষ্ঠু এবং যৌক্তিকভাবে কার্যালয় ঘেরাও করতে এলে তাদের চা পান করানো হবে। তবে বিএনপি ভিন্নভাবে বিষয়টি ব্যাখ্যা করলে বিষয়টি পরিষ্কার করলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি মিথ্যাচার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই। সংবিধানের বাইরে একচুল যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (২৫ জুলাই) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের দ্বিতীয় মৃ”ত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে সংলাপের জন্য ডাকেননি। বিএনপি এর অপব্যাখ্যা করছে। প্রধানমন্ত্রী তাদের সুশৃঙ্খল আন্দোলন করতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রতিবাদ করতে করতে এলে প্রয়োজনে চা পরিবেশন করা হবে। এটা সংলাপের আহ্বান নয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো দুর্বলতা নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই। সংবিধানের বাইরে একচুল যাওয়ার সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
“বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশেও এর কিছুটা প্রভাব রয়েছে। তবে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।” এমনটাই বলেন, কামরুল ইসলাম।
অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, এক এগারোর সময় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাহারা খাতুন। তিনি শেখ হাসিনার মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। নেতাকর্মীদের আগলে রাখতেন। তিনি ছিলেন কর্মীবান্ধব নেতা। এটি কর্মীদের অনুসরণ করা উচিত। দলীয় সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন সাহারা খাতুন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, বিএনপি মিথ্যাচারের দল। নির্বাচন এলেই শুরু হয় ষ”ড়যন্ত্র। তাদের ষড়য’ন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। বিএনপিকে রাজপথে চালাকি করতে দেওয়া হবে না।
এছাড়া তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন যোগ্য নেত্রী, তাকে পুনরায় বিপুল ভোটে জয়ী করার জন্য সকলে মিলে কাজ করতে হবে। আমাদের এই যোগ্য নেত্রী ছাড়া দেশের উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। তিনি অনেক ষড়যন্ত্রের ভেতর থেকেও দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি যে উন্নয়ন ঘটিয়েছেন সেটা অনেকে মুখে না বললেও অন্তরে স্বীকার করেন।