তরুণ রাজনীতিবিদ ও প্রযুক্তি বিজ্ঞানী সজিব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, পশ্চিমারা বাংলাদেশে গণতন্ত্র-রাজনীতি-নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা বলে, কিন্তু বিএনপি এদেশে আগুন জ্বালাচ্ছে, মানুষ জ্বালিয়ে দিচ্ছে। তারা বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল বলে না।
সোমবার সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত লেটস টক অনুষ্ঠানের ৫১তম পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে সজিব ওয়াজেদ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে বিশেষ করে পশ্চিমা রাষ্ট্রদূতকে তারা বেশি উৎসাহ দিচ্ছেন। গত তিনটি নির্বাচন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এক শ্রেণি তাদের এভাবে গাড়িতে আগুন দিতে উৎসাহিত করছে। বিশেষ করে পশ্চিমা রাষ্ট্রদূতরা, সেখান থেকে।
“নির্বাচনের ঠিক আগে অতিরিক্ত কথা বলা শুরু করে। এই যে জামায়াত একটি যুদ্ধাপরাধী দল, জঙ্গি দল। তাদেরকে জঙ্গি-সন্ত্রাসী বলবে না। এ ক্ষেত্রে মানবাধিকারের কোনো চিহ্ন নেই।’
জয় বলেন, “আমি তরুণদের বলব বিদেশিদের থেকে সাবধান থাকতে। তারা চায় বাংলাদেশ গরিব দেশ হিসেবেই থাকুক। আমরা তাদের নির্দেশ অনুসরণ করি।
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা বলেন, “আমরা যদি বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে অগ্নিসংযোগ বন্ধ করতে চাই, তাহলে সহজ সমাধান হলো বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা। যেহেতু এটি সম্ভব নয়, অন্য উপায় আছে। নৌকায় ভোট দিন।
“জামায়াতের ভোটার যত কমতে থাকবে, আমাদের জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস কমবে। প্রতিটি নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিলে এখন জামায়াত বলে কিছু থাকবে না, ভবিষ্যতে বিএনপি বলে কিছু থাকবে না।” সেদিন বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে।
সজিব ওয়াজেদ বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে, যা এখন সাইবার নিরাপত্তা আইনে পরিণত হয়েছে। ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস যাতে বিকৃত না হয় সেজন্য এই আইন করা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাকস্বাধীনতায় কোনো বাধা নেই।