আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলো ইতিমধ্যে তাদের বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে। নির্বাচনের এখনো এক বছরেরও বেশি সময় রয়েছে কিন্তু তার আগেই মাঠে সরব হতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দল বিএনপি ও আওয়ামীলীগ নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ভিন্ন কথা বলছে। বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য বিদেশি রাষ্ট্রগুলো তাগিদ দিচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যা জানালেন।
নির্বাচনের প্রহসন বিএনপির সৃষ্টি, এটা তাদের দ্বারা করা হয়েছে; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরাই জনগণের কাছে নির্বাচন নিয়ে গেছি।
যুক্তরাজ্য ও যু/ক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ক/থা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, মানুষ ভোট দিতে পারলেও ভোট দেওয়ার পরিবেশ বা জনসচেতনতা তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ। ছবিসহ ভোটার তালিকা করা হচ্ছে, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপি প্রতিনিয়ত রাষ্ট্রদূতের কাছে যাচ্ছে এবং নির্বাচনের কথা বলছে। নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হবে, নাকি বিদেশি দূতাবাসের মাধ্যমে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে বিএনপিকে জি/জ্ঞেস করা উচিত নির্বা/চনটা কে করে দি/য়ে যাবে। তারা তাদের অতীত ভুলে গেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে বেড়াচ্ছে। দেশে যদি তাদের এমন সমর্থন থাকত বা তাদের নিজেদের শিকড়ে যদি জোর থাকত, তাহলে তারা বিদেশের মাটিতে ধরনা দিত না। জনসমর্থন থাকলে, জনগণের প্রতি আস্থা থাকলে বা বিশ্বাস থাকলে তারা জনগণের কাছে যেত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা জনগণের কাছে ভোট চাইতে যাবেন কোন মুখ নিয়ে। মানুষ পো/ড়ানো, মানুষ হ/ত্যা, বো/মা মারা, গ্রে/’নেড মারা, সবখানেই বিএনপি জড়িত। তাই তারা মানুষের বদলে বিদেশিদের কাছে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বিএনপি দেশের জনগণের প্রতি আস্থা হারিয়েছে কারন তাদের চরিত্র সম্পর্কে দেশের মানুষ জানে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, জনগণের আস্থা হারিয়ে ধরনা ধরে বেড়াচ্ছে বিএনপি।