Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বিএনপির নেতাকর্মীদের সতর্ক করলেন, মিছিলে গেলে হাত-পা ভেঙে ফেলব

বিএনপির নেতাকর্মীদের সতর্ক করলেন, মিছিলে গেলে হাত-পা ভেঙে ফেলব

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বাংলাদেশের দুটি রাজনৈতিক দল। আাওয়ামী লীগ হলো বর্তমান ক্ষমতাসীন দল এবং দলটি পরপর তিনবার জনগনের অজস্র ভালোবাসা নিয়ে বাংলা ক্ষমতায় এসেছেন। প্রতি ৫ বছর পরপর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর সেই জাতীয় নির্বাচন প্রায় আসন্ন। সামনের বছরের প্রথম দিকেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নির্বাচন। সম্প্রতি জানা গেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা বিএনপির কর্মীদের বলেছেন সরকারবিরোধী কোনো সমাবেশে গেলে তাদের হাত-পা ভেঙে ফেলবে।

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বিএনপি ও অন্যান্য সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সরকারবিরোধী কোনো সমাবেশে গেলে তাদের হাত-পা ভেঙে ফেলা, ‘আকার’ করে ‘পরিস্থিতি গুরুতর করার’ হু/মকি দিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা। দ্বারে দ্বারে গিয়ে তিনি বিএনপি নেতাদের হুমকি দেন। এসব হুমকির ভিডিও ভাইরাল হলে তিনি তা স্বীকারও করেন।

এ হু/মকি দিয়ে উপজেলা স্বচ্ছসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আল-মামুন। রোববার বিকেলে তিনি ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে বাউশিয়া ইউনিয়নের চর বাউশিয়া ও পশ্চিম বাউশিয়া গ্রামের বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেন।

বিএনপি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বলেন, ‘আমাকে ওসি সাব ও চেয়ারম্যান সাব পাঠিয়েছি সতর্কবার্তা দিতে। এরপর কেউ এ গ্রাম ছেড়ে গেলে তার অবস্থা আরও খারাপ হবে। নির্বাচনের আগে কেউ যেন ঘরে না থাকে। আওয়ামী লীগের মিছিল-মিটিং হলে ও মোর্চা থাকলে পরিস্থিতি ভয়াবহ। গ্রাম ছেড়ে গেলে শুধু মার খাবে। ওসি সাহেবকে পাঠান, আমি ধীরার সাথে যাব।’

উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক রাজীব হোসেন জানান, রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মামুনসহ ১০-১২ জন তার বাড়িতে যান। তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। বাড়িতে এসে পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে জানতে পারেন মামুন তাকে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে তিনি ওইদিন সকালে বিএনপির পদযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন। এ কারণে তিনি আরও চার-পাঁচটি বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেন। অভিযুক্ত মামুন বলেন, ‘শনিবার মহাসড়কে বাসে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে বিএনপি নেতারা। তার জন্যই বলেছি।

প্রসঙ্গত, জাতীয় নির্বাচনের আগে দেশের রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা তাদের প্রচার-প্রচারণা নিয়ে খুব ব্যস্ত সময় পার করে থাকে। উচ্চ পর্যায়ের নেতারা বিভিন্ন ধরণের মিছিল মিটিং করে নির্বাচনে কর্মীদের উদ্দেশ্যে তাদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন যাতে কর্মীরা উদ্ভুদ্ধ হয়ে কাজ করে যায়।

About Shafique Hasan

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *