রাজধানীর হাজারীবাগে ভাড়া বাসায় তানিয়া আক্তার (৩৫) নামে এক নারীকে ‘হ’ত্যা’র ঘটনায় বাড়ির মালিক শাহিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বিয়ে করলেও বেশিদিন একসঙ্গে থাকেননি তানিয়া আক্তার ও আজিজুর রহিম। তানিয়া থাকত ঢাকায়, স্বামী থাকত কুমিল্লায়।
এ বিষয়ে তানিয়ার স্বামী আজিজুর গণমাধ্যমকে বলেন, তার (তানিয়া) বাবার বাড়ি ছেড়ে শাহীনের ফ্ল্যাটে যাওয়ার কথা আমাকে কেউ বলেনি। প্রেম করে বিয়ে করলেও আমাদের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। শুরু থেকেই সন্তান নিতে চাননি তানিয়া। আমি তাকে একবার দুবাই নিয়ে গিয়েছিলাম। তিনি সেখানেও থাকেননি। গত তিন বছর আমি দেশে চলে আসছি। আমি কুমিল্লায় থাকি তবে তানিয়া বেশির ভাগ সময় ঢাকায় থাকত। সে আমার কাছ থেকে ডিভোর্স চেয়েছিল। আমাদের উভয় পরিবার বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল।
তিনি আরও বলেন, গত বুধবার তানিয়ার সঙ্গে আমার শেষ কথা হয়েছিল। এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি কুমিল্লায় আসবেন বলে জানান।
জানা যায়, তানিয়ার সঙ্গে বাড়ির মালিক শাহিনের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। হত্যার আগে শাহীন তানিয়ার সঙ্গে মোট আটবার ফোনে কথা বলেছিল। তিনি প্রতিবার ১০ থেকে ১৫ মিনিট কথা বলেন।
এ ছাড়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, গতবার তানিয়া তার বাড়িতে একাই প্রবেশ করেছিল। ফলে খুনি হিসেবে পুলিশের সন্দেহভাজন তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে শাহীন। তবে সোমবার পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে তানিয়ার পাশের কক্ষের আরেক মহিলা ভাড়াটিয়া দাবি করেন, তিনি হ’ত্যা’কা’ণ্ডের বিষয়ে কিছুই বুঝতে পারেননি। পাশের ঘরে থাকা ব্যক্তি কিছু না জানলেও গ’লা কা’টা’র ঘট’নাটিকে সন্দেহের চোখে দেখছে পুলিশ। স্বামীর সঙ্গে তানিয়ার সম্পর্কও ভালো ছিল না। তিনি আলাদা থাকতেন। তদন্তে এসব বিষয় গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তানিয়ার মামা আলমগীর হোসেন বলেন, তানিয়া রাজধানীর লালমাটিয়া কলেজে পড়াকালীন ফেসবুকে প্রবাসী আজিজুরের সঙ্গে পরিচয় হয়। ২০১৭ সালের ৩১ মার্চ তাদের বিয়ে আমি নিজে থেকে দিয়েছি। তানিয়া স্বাধীনচেতা টাইপের ছিল।
পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, শাহিন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। তবে তার পদ সম্পর্কে জানাতে পারেনি ওই সূত্র।