বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে এমন ঘটনা আসলেই অনেকটা অবাক করার মতই। তবে অবাক করা হলেও বাস্তবে এবার এমনই ঘটনা ঘটেছে যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নে। জানা গেছে, এ ইউনিয়নে নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন ইলিয়াস কবির বকুল। কিন্তু নির্ধারিত দিন আসতেই রীতিমতো বিপাকে পড়তে হলো তাকে।
জানা যায়, আজ ভোটের দিন রবিবার (২৮ নভেস্বর) সকাল থেকে নিজ বাড়িতে অবরুদ্ধ ছিলেন তিনি। বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল খালেকের সমর্থকরা অবরুদ্ধ করে রাখায় নিজের ভোটটিও দিতে পারিনি বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন ওই প্রার্থী।
নৌকার প্রার্থী ইলিয়াছ কবির বকুল অভিযোগ করে বলেন, ‘নির্বাচনের আগের দিন রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্যাডাররা আমাকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিয়েছে। বিষয়টি আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি। পুলিশ উল্টো আমার লোকজনকে মারপিট করেছে। আমি বাসা থেকে বের হতে পারিনি। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়েও নিজের ভোটটি পর্যন্ত দিতে পারেনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল খালেক ধাবক বিএনপি জামায়াতের সহযোগীতায় ভোট কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট প্রয়োগ করছেন। তাদের সহযোগীতা করছেন পুলিশ।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রানের ভয়ে বাসায় অবরুদ্ধ রয়েছি আমি। ভোট কেন্দ্র থেকে আমার পুলিং এজেন্টদের মারপিট করে বের করে দেওয়া হয়েছে। বসতপুর কলোনী কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন আমার লোকজনের উপর হামলা করে ৪ জনকে গুরুতর জখম করেছে।’
আর এরই জের ধরে এ নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা করেছেন ইলিয়াস কবির বকুল। আজ দুপুরে তার সঙ্গে আলাপকালে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে এমনটাই দাবি করেন। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা, সে ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি।