ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোটা হারিয়ে গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশে আসেন সাফ জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। তবে দেশে ফেরার একদিন যেতে না যেতেই রীতিমতো নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয় নারী ফুটবল দলের অনেককে। আর তাদের মধ্যে অন্যতম নারী ফুটবল দলের ডিফেন্সের খেলোয়াড় আঁখি খাতুন।
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জমিকে কেন্দ্র করে তার বাবাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় পুলিশ। এমনকি বাসায় ফিরলে সাফ জয়ী আঁখিকেও থানায় নেয়ার হুমকি দেয়া হয়।
তবে এরই মধ্যে জানা গেল, এ অভিযোগের আলোকেশাহজাদপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মামুনুর রশীদ ও কনস্টেবল আবু মুসাকে ক্লোজ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ফুটবলার আঁখির বাবাকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে। একইসঙ্গে সহকারী পুলিশ সুপারকে (শাহজাদপুর সার্কেল) তদন্ত করতে বলা হয়েছে।” এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে আঁখির বাবাকে হুমকি দেওয়ার ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় এবং এ ঘটনায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মামুনুর রশিদ ও কনস্টবল আবু মুসাকে সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়।
এর আগে বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এএসআই মামুনুর রশিদ ও কনস্টেবল আবু মুসা একটি নোটিশ নিয়ে শাহজাদপুর উপজেলার পৌর সদরের পারকোলা গ্রামে আঁখির বাড়িতে বেসামরিক পোশাকে হাজির হন। শাহজাদপুর থানার এএসআই মামুনুর রশিদ আঁখির বাবা আক্তার হোসেনকে জানান, দ্বাবারিয়া গ্রামের মৃত মেছের প্রাং এর ছেলে মো. মকরম প্রাং বাদী হয়ে সম্প্রতি সিরাজগঞ্জের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দ্বাবারিয়া মৌজায় জোরপূর্বক জমি দখলের পায়তারার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন। এতে ফুটবলার আঁখিসহ ৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এএসআই মামুনুর রশিদ আঁখির বাবা আক্তার হোসেনকে আদালতের নোটিশ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলে তিনি তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। এ সময় এএসআই মামুনুর রশিদ তার সঙ্গে ক্ষিপ্ত হয়ে অসম্মানজনক আচরণ করেন। আঁখির বাবা আক্তার হোসেন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই জমি আমার মেয়ে আঁখিকে দিয়েছেন। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে একটি চক্র ভুয়া দলিল দিয়ে ওই জমি দখলের চেষ্টা করছে।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুঃখ প্রকাশ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই আখির বাড়িতে ছুটে যান তিনি। এরপর এ বিষয়টি মীমাংসা করেন তিনি। একই সঙ্গে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্ষমা চাইতেও বলা হয়েছে।