সম্প্রতি গত ২৮ জুলাই তরিকুল ইসলাম জুবায়ের নামে এক যুবকের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় নুসরাত জাহানের। মেয়ের সুখের জন্য যতটুকু পেরেছেন জামাতাকে খুশি করার চেষ্টা করেন বাবা। কিন্তু এরপরও ঘটে গেলে এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা।ভ জানা যায়, মেয়েকে বিয়ে দেয়ার একটি পরেই জামাতার বাড়ি গিয়ে মেয়েকে কোথায়ও দেখতে না পেয়ে জামাতার নামে মানব পাচার আইনে মামলা করেছেন শ্বশুর।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুকতাগড় ইউপির কেওতা গ্রামের জামাতা তরিকুল ইসলাম জুবায়েরসহ তার পরিবারের ৫ সদস্যের নামে মানবপাচার দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করা হয়।
বরিশাল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলাটি তদন্ত করে নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলা দায়েরের পর এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলার নিশান বাড়িয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চাপাইবাড়ৈখালী গ্রামের মো. মহিউদ্দিন হাওলাদারের মেয়ে নুসরাত জাহানকে রাজাপুরের কেওতা গ্রামের তরিকুল ইসলাম জুবায়েরের সঙ্গে বিয়ে দেন। ২৮শে জুলাই, পরিবার ইসলামী শরীয়তের ভিত্তিতে বিবাহ সম্পাদন করে এবং বরের হাতে তুলে দেয়। ওই দিন মেয়ের জামাই জুবায়ের তার মেয়েকে নিয়ে তার বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে শ্বশুর বাড়ি থেকে বের হয়। গত ৩০ জুলাই তার বাবা মেয়েকে দেখতে গিয়ে কেওটা গ্রামে তার জামাইয়ের বাড়িতে পৌঁছালে জুবায়ের জানান, নুসরাত তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। এরপর মেয়েটির বাবা মহিউদ্দিন বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ করেও কিছু পাননি। পরে জামাইয়ের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও নুসরাতের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ১২ আগস্ট বিষয়টি রাজাপুর থানা পুলিশকে জানানো হলে তারা ঘটনাটি শুনে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী গত ১৪ আগস্ট ঝালকাঠির মানবপাচার দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়।
বাদীর অভিযোগ, ঘটকের মাধ্যমে পাতানো বিয়ে করে ওই যুবক। তার মেয়েকে অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ ও অসামাজিক কাজে নিয়োজিত করাসহ অন্যত্র পাচার করা হয়েছে।
এদিকে মেয়ের জামাতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠতেই গোটা এলাকাজুড়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এদিকে নুসরাত জাহান নামে ঐ নববধূকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।