২০০৯ সালে লালমনিহাটের কালীগঞ্জে ( Kaliganj Lalmonihat ) কবিরাজি চিকিৎসা নিতে গিয়ে রীতিমতো ‘/যৌ”ন” ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন জাহাঙ্গীর আলম ( Jahangir Alam ) নামে এক ব্যক্তি। তবে এ বিষয়টি তখনও বুঝতে পারেননি তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে বিয়ের পর বাসরঘরে যেতেই এ বিষয়টি সামনে আসে তার। আর এ অবস্থায় দাম্পত্য জীবনে কলহের সৃষ্টি হওয়ায়, দিন দিন মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছিলেন তিনি। সেই ধারাবাহিকতায় দুশ্চিন্তা কাটিয়ে উঠতে না পেরে শেষমেষ বাবাকে দুনিয়া থেলে সরিয়ে দেন জাহাঙ্গীর আলম ( Jahangir Alam )।
মা’মলা’র চার বছর পর ক্লুলেসহ ( Klules ) এ মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুরে ( noon ) সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইসমাইল। ( Md. Ismail. ) তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ( year ) ৩১ জুলাই ( July ) কালিগঞ্জ ( Kaliganj ) উপজেলার অচিনতলা এলাকায় ‘নি’হ’ত’ হন গোলাম হোসেন। ( Golam Hossain. ) এ ঘটনায় তার বড় ছেলের দায়ের করা মা’ম’লায় তদন্ত শুরু হলেও কোনো রহস্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
চলতি বছরের মার্চে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেন সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) জায়েদুল ইসলাম জাহিদ।
তিনি ১০ এপ্রিল গোলাম হোসেনের দ্বিতীয় ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে আদালতে সাত দিনের রি/মা/ন্ড আবেদন করেন। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে সুকৌশলে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগ কথা স্বীকার করেছেন।
মো. ইসমাইল জানান, ২০০৯ সালের দিকে কবিরাজি চিকিৎসায় গোলাম হোসেন তার //যৌ//ন ক্ষমতা নষ্ট করে দেন। পরের বছর বিয়ে করলে বাসরঘরে তিনি বুঝতে পারেন তার //যৌ//ন ক্ষমতা নাই। সেই থেকে স্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য শুরু হয়। দীর্ঘ আট বছরের সংসার জীবনে অক্ষমতা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ক/ল/হ ও বিরোধ লেগে থাকলে বাবার প্রতি ক্ষোভ তৈরি হয়।
একপর্যায়ে তাকে ‘মা’র’লে ‘যৌন ক্ষমতা ফিরে পাবেন মনে করে পরিকল্পনা করতে থা’কেন। সেই জে’র ধরে বাবা’কে ‘মে”রে’ ফে/লেন তিনি।
এ বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এদিকে এ ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলমের উপযু্ক্ত শাস্তিরও দাবি জানিয়েছেন কেই কেউ।