দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ঘন কুয়াশায় পদ্মা নদীতে ৯টি গাড়ি নিয়ে রজনীগন্ধা ফেরি কীভাবে ডুবে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের কাছে নোঙর করা ফেরিটি ডুবে যায়।
চুয়াডাঙ্গা থেকে ফেরিতে আসা মালামাল বোঝাই ট্রাকের মালিক নাজমুল হোসেন (৩৩) বলেন, সকাল সাড়ে ৬টার পর নোঙর করা ফেরির পেছনে পানি উঠলে আমরা ফেরির লোকজনকে ডাকি। তারা পাত্তা দেয়নি। তারা চাইলে দ্রুত ফেরি চালু করে তীরে যেতে পারত।
তিনি আরও বলেন, ট্রাকের ভেতরে কয়েকজন চালক ঘুমিয়ে ছিলেন। তারা উঠেছে কি না বলতে পারব না। কিন্তু কিছুই ফেরিতে আঘাত করেনি। মেঝে ফেটে ফেরিটি ডুবে যায়।
ফরিদপুর অঞ্চলের নৌ-পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, নোঙর করা রজনীগন্ধা ফেরিটির তলদেশ ফেটে ডুবে গেছে। পরে ফেরিতে থাকা ২০ জনকে উদ্ধার করা হয়। ফেরিটি অনেক পুরানো এবং অতিরিক্ত লোড থাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার রাতে রজনীগন্ধা ফেরি দৌলতদিয়া ঘাট থেকে সাতটি ছোট ট্রাক ও দুটি বড় ট্রাক নিয়ে পাটুরিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া নং ফেরি ঘাটের কাছে নোঙর করা হয়েছে। পরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি বাল্কহেড ফেরিটিকে ধাক্কা দিলে সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে তা ডুবে যায়।
“পরে আমরা একটি ট্রলার দিয়ে ফেরি স্টাফ এবং ট্রাক চালকদের উদ্ধার করি এবং আমাদের দ্বিতীয় চালক হুমায়ুন কবির এখনও নিখোঁজ রয়েছেন,” তিনি যোগ করেন। এ ব্যাপারে কিছুক্ষণ পর উদ্ধার কাজ শুরু হবে।
মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা জানান, ফেরি ডুবির ঘটনায় ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন লেকে সাঁতার কাটে। আর ছয়জনকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।