রাজশাহীর বাগমারায় বালিশ চাপা দিয়ে স্বামী আব্দুর রাজ্জাককে হত্যা করেছে এক বধূ। গ্রেফতারের পর স্বামীকে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে কনে শাপলা খাতুন।
সোমবার রাতে উপজেলার বসুপাড়া ইউনিয়নের সাইপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহতের নাম আব্দুর রাজ্জাক (৩১)। তিনি নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন। সে ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
গ্রামের বাসিন্দারা জানান, রাজ্জাক তার আগের স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। গত শুক্রবার পার্শ্ববর্তী মোহনপুর উপজেলার ধুরাইল গ্রামের মো. শুকরদীর মেয়ে শাপলা খাতুনকে (১৮) বিয়ে করেন। এটিও ছিল শাপলা খাতুনের দ্বিতীয় বিয়ে।
বাগমারা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, রাতে স্বামীকে বালিশ দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর শাপলা বাড়িতেই ছিল। সকালে খুনের বিষয়টি টের পেয়ে পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে।
তিনি জানান, শাপলা একেকবার একেক রকমের কথা বলছেন। তিনি কখনো বলছেন, তারা স্বামী-স্ত্রী একে-অপরকে বালিশচাপা দিয়ে খেলতেন। এতে রাজ্জাকের মৃত্যু হয়েছে। আবার কখনো বলছেন, তার স্বামী শারীরিকভাবে অক্ষম ছিলেন। এ কারণে রেগে বালিশচাপা দিয়েছেন।
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে শারীরিক অক্ষমতার কারণে শাপলা তার স্বামীকে হত্যা করেছে। কারণ, একই কারণে রাজ্জাক তার আগের স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স নিয়েছিলেন।