প্রতিটা মানুষই ছুটিতে বাড়িতে গেলে বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে আড্ডায় মেতে ওঠে। পুলিশ কর্মকর্তারা ও তার ভিন্ন নয় ছুটি পেলেই যেন বাল্য বন্ধুদের সাথে পিকনিক আর আড্ডায় মেতে ওঠে গ্রামের বাড়িতে। কিন্তু এ-কেমন বারবিকিউ পার্টি সেটা কেড়ে নিলো প্রাণ। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে যেখানে বারবিকিউ পার্টি শেষে খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে প্রাণ হারাতে হলো এক পুলিশ কনস্টেবল কে।
নরসিংদীর মনোহরদীতে ছুটিতে নিজ বাড়িতে বারবিকিউ পার্টি করতে গিয়ে এক পুলিশ কনস্টেবলের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সকালে জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে বারবিকিউ পার্টিতে খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
নিহত মিজানুর রহমান (২৫) মনোহরদী উপজেলার মনতলা এলাকার বকুল মিয়ার ছেলে। তিনি সিলেটের কানাইঘাট থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, মিজানুর পাঁচ বছর আগে সিলেটের কানাইঘাট থানায় কনস্টেবল হিসেবে যোগদান করেন। তিনি গত মঙ্গলবার ছুটির দিনে মানতলা গ্রামে নিজ বাড়িতে আসেন এবং বৃহস্পতিবার রাতে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে বারবিকিউ পার্টিতে যোগ দেন। এ সময় কাবাব দিয়ে বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বন্ধুরা তাকে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার সকালে তাকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিজানুর রহমানের ছয় বন্ধু সাজেদুল বারী শাকিল, আশিকুর রহমান ও সাব্বিরকে আটক করেছে পুলিশ।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
খাবারে কোন বিষপ্রতিক্রিয়া ছিল কিনা সে ব্যাপারে এখনো কোনো খবর জানা যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে এখনো আটক রাখা হয়েছে তবে তাদের কাছ থেকে সেরকম কোনো তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। হয়তো ময়নাতদন্ত বলে দেবে আসল খবর, তখন বোঝা যাবে মূলত ব্যাপারটা কি।