দেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবনে, কারণ জ্বালানি তেলের পাশাপাশি সকল ধরনের দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে
সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো প্রতিবাদ জানাতে মাঠে নামছে। সেখানে নিজেরাও আন্দোলনে নেমেকৌশলী অবস্থান নিচ্ছে বিএনপি। এদিকে বিএনপি মহাসচিব এই ধরনের প্রশ্নে বেশ কৌশলী উত্তর দিয়েছেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিসহ দেশে নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে কথা বলেছেন।
বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বর্তমান সরকারের আমলে কীভাবে পণ্যের দাম বেড়েছে, তার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল ২৫ আগস্ট বাম গণতান্ত্রিক জোটের হরতালে বিএনপির সমর্থন থাকবে কি না?
বিএনপি মহাসচিব এর খুব কৌশলী জবাব দিয়ে বলেন, আমরা আগেই বলেছি যে কোনো দলের ন্যায্য বা ন্যায়সঙ্গত দাবির আন্দোলনকে আমরা সব সময় সমর্থন করি।
তবে এ ইস্যুতে এর আগে সারাদেশে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। এছাড়া জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পরিবহন ভাড়া ইত্যাদির প্রতিবাদে আগামী ২২ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি।
এসব জনসাধারণের সমস্যা নিয়ে দেশের উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সভা-সমাবেশ ও বিক্ষো’ভ করবে দলটি।
প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেল ও ইউরিয়া সারের মূল্যবৃদ্ধি এবং পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সারাদেশে আধা ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না এমন কথা জানালেও তারা সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এদিক থেকে গতকাল তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের নিকট কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে চিঠি পাঠিয়েছে। তবে বিএনপি ক্ষমতাসীন দলের সরকারের মেয়াদের আগেই সরকারকে হঠাতে মাঠে নামার জন্য সকল নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে।