Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বাবা-মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিখোঁজ সেই শিক্ষার্থী উদ্ধার, জানা গেল নিখোঁজ হওয়ার কারন

বাবা-মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিখোঁজ সেই শিক্ষার্থী উদ্ধার, জানা গেল নিখোঁজ হওয়ার কারন

সম্প্রতি কিছুদিন আগেই বাবা-মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে রীতিমতো লাপাত্তা হয়ে যান শিব্বির আহমেদ (২১) নামে ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজের এক শিক্ষার্থী। তবে এর আগে মুঠো ফোনের মাধ্যমে বাড়ি ফেরার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরপরও বাড়ি ফিরে না আসায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যান তার বাবা-মা।

তবে এরই মধ্যে জানা গেল, নিখোঁজ ঐ শিক্ষার্থীকে দিনাজপুর থেকে উদ্ধার করেছে ময়মনসিংহ থানা পুলিশ। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ কামাল আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিখোঁজ শিক্ষার্থী শিব্বির আহমেদ জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নে বানিয়াবাড়ী গ্রামের আব্দুল্লাহ আল-ফারুকের ছেলে।

এর আগে, শিব্বির আহমেদ ফেসবুকে সর্বশেষ শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে নিখোঁজ হোন। তাছাড়াও তিনি কমিউটার ট্রেনযোগে ময়মনসিংহ থেকে জামালপুর আসছে বলে পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেন। এ ঘটনায় ওইদিন শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার পরিবার। তারপর থেকে পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে খুঁজতে থাকে।

নিখোঁজ শিব্বিরের খালাতো ভাই মুত্তাছিম বিল্লাহ বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম শিব্বির আত্মনন করার মতো ছেলে না। যাক আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে তাকে অক্ষত অবস্থায় রবিবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে খুঁজে পেয়েছি। মূলত সে অভিমান করে সবার আড়ালে চলে গিয়েছিলো তাছাড়া অন্য কিছু না।

এদিকে সংবাদ মাধ্যমে নিখোঁজ ঐ শিক্ষার্থীকে উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি জানান, ছেলেটি মূল্য বাবা-মায়ের সাথে অভিমান করেই সবার আড়ালে চলে যান। তবে অবশেষে অনেক খোঁজাখুঁজি করে দিনাজপুর থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

About

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *