চট্টগ্রামে বিএনপির রোডমার্চে অংশ নেওয়া বাবার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখে ক্ষোভে বিষপান করেন ছাত্রলীগ নেতা নীরব ইমন (২২)। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে দেখতে গেলেন তথ্যমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে চমেক হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ইমনের সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটান তথ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি অসুস্থ ছাত্রলীগ নেতার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। মন্ত্রী ছাত্রলীগ নেতার বাবা মোহাম্মদ জহিরেরকাছে আর্থিক সহায়তাও হস্তান্তর করেন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে যথাযথ চিকিৎসা ও চিকিৎসা ব্যয়ের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে রাঙ্গুনিয়ার পোমরা ইউনিয়নের মালিরহাট এলাকার আলকাজ পণ্ডিত বাড়ির নিজ বাড়িতে বিষপান করেন নীরব ইমন। তিনি পোমরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। তার বাবা জহির ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) চট্টগ্রাম নগরীতে বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচিতে অংশ নেন ইমনের বাবা মোহাম্মদ জহির (৪৫)। এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তার বন্ধুরা ইমনের মেসেঞ্জারে পাঠায়। বিএনপির রোডমার্চে বাবার অংশগ্রহণ মেনে নিতে পারেননি ইমন। ক্ষুব্ধ ইমন পরিবারের সদস্যদের উপর অভিমান করে বিষ পান করে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে ইমন বলেন, ‘মানুষ দেশের উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করে। আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু রাঙ্গুনিয়ায় তার দল কোনো উন্নতি করেনি। রাঙ্গুনিয়ায় আমাদের নেতা তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন, হাজার হাজার শিশুর কর্মসংস্থান হয়েছে। আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বাবাকে অনেকবার নিষেধ করলেও তিনি শোনেননি। আমার বাবা অন্য দলে রাজনীতি করবে এবং আমার বন্ধুরা আমাকে দেখাবে এটা আমি মেনে নিতে পারিনি।
চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. এম এ সাত্তার বলেন, বিষক্রিয়ায় অসুস্থ ইমানকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। প্রথমে যখন তাকে হাসপাতালে আনা হয় তখন তার অবস্থা খারাপ ছিল। তাকে ওয়াস করা হয়েসি। এখন তার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। আমি আশা করি শীঘ্রই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে যাবেন।