পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া ফেরির দ্বিতীয় ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ুন কবিরকে (৩৯) মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় দাফন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার মাটিরাঙ্গা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
দাফনের জন্য হুমায়ুন কবিরের বাড়িতে গিয়ে হৃদয় বিদারক দৃশ্য দেখেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের হাহাকারে উপস্থিত সবাই স্তব্ধ হয়ে যান। নিহতের স্ত্রী ও স্বজনদের কান্নায় বাতাস ভারি হয়ে ওঠে।
ঘরের ভিতর থেকে হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী রোজী আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে আমাকে ফোন করে বলেন, পাঞ্জাবিটা ধুয়ে রেখো, ছেলেকে নিয়ে মসজিদে যাব। এ কথাই যে শেষ কথা হবে তা বুঝতে পারিনি। বাড়িতে যে লাশ হয়ে ফিরতে হবে তা কে বুঝেছিল।
হুমায়ুন কবিরের মেয়ে কামরুন্নাহার কলি (১৭) বলেন, বাবা আমাদের প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ বার কল দিত। আমাদের এখন আর কল দেওয়ার কেউ থাকল না।
ইউপির সাবেক সদস্য মো. মনসুর আলী বলেন, হুমায়ূন ছোটবেলা থেকে অনেক কষ্ট করে বড় হয়েছেন। তিনি খুব ভালো মনের মানুষ ছিলেন। আমরা স্থানীয়রা তাকে আমাদের মসজিদের সভাপতি করেছিলাম। আজ শুক্রবার সবাইকে বাসায় আসতে বলেছে।
হুমায়ুন কবিরের ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম শাওন জানান, পাটুরিয়া ফেরি ঘাট থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দূরে হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় পদ্মা নদী থেকে হুমায়ুন কবিরের লাশ উদ্ধার করা হয়।