সন্তান হলো প্রত্যেকটি বাবা মায়ের কাছে তদেডর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। জন্মের পরে বাবা মা চান তদের সন্তানকে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলতে। তাই তদের উজ্জল ভবিষ্যতের জন্য বাবা মায়েরা কঠোর পরিশ্রম করে থাকেন। এমনকি অনেক সময় দেখা যায় বাবা মা তাদের জীবনের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশে পাঠায়। সম্প্রতি ঘটলো এক দুঃখজনক ঘটনা। জানা গিয়েছে হিমেল আহমেদের পরিবার জানে যে সে দুবাইতে আছে কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তাকে চাঁদপুরের একটি আবাসিক হোটেলে প্রয়াত অবস্থায় পাওপয়া যায়।
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার একটি আবাসিক হোটেল থেকে দুবাই প্রবাসীর নিথরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হোটেলের দ্বিতীয় তলার পূর্ব পাশের ১৯ নম্বর কেবিন থেকে নিথরদেহটি উদ্ধার করা হয়। প্রয়াত যুবকের নাম হিমেল আহমেদ শুভ (২২)। সে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার পূর্ব নৌরী গ্রামের খোকন প্রধানের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে হোটেলের কর্মচারী রুম পরিষ্কার করতে গেলে ভেতর থেকে বন্ধ দেখে দরজায় ধাক্কা দেয়। ঘরের ভেতর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে তিনি চলে যান। কয়েক ঘণ্টা পর আবার ঘর পরিষ্কার করার জন্য দরজায় টোকা দেন। কোনো সাড়া না পাওয়ায় বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পরে বিকেল ৩টায় মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশ দরজা ভেঙে হিমেল আহমেদ শুভর নিথরদেহ উদ্ধার করে।
হোটেল সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শুভ হোটেলের ১৯ নম্বর কক্ষ ভাড়া নেন হিমেল আহমেদ। প্রয়াতের বাবা খোকন প্রধান বলেন, ৯ মাস আগে ছেলেকে দুবাই পাঠিয়েছিলাম। আমরা জানি আমাদের ছেলে দুবাইতে আছে। কবে বাংলাদেশে এসেছিল তাও আমরা জানি না।
মতলব দক্ষিণ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, তাকে বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া মোবাইল ফোনে ছবি দেখে বোঝা যায় সে বিদেশে গাড়ি চালাতো। ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিথরদেহ উদ্ধার করেছে। বিষক্রিয়ায় তার প্রয়ান হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।
প্রসঙ্গত, মানুষ অনেক আশা করে কোনো কিছু করার চেষ্টা করে তবে সবার আশা পূরণ নাও হতে পারে। ভ আগ্য যদি সহায় না হয় তাহলে যেকোনো সময় একজন মানুষকে পরতে হতে পারে জীবনের খুব ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে, যে পরিস্থিতি তাকে আর কোনোদিন তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে নাও যেতে পারে। হিমেল আহমেদ নামের এই যুবকও ঠিক একই জীবনসংকটাপূর্ন পরিস্থিতিতে পরেছিল, যেখান থেকে সে আর ফিরে আসতে পারেনি। চলে গেল না ফেরার দেশে।