ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সম্প্রতি দেশে ফেরেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। তবে দেশে ফিরতে না ফিরতেই রীতিমতো নানা বিপাকে পড়তে হয় নারী ফুটবল দলের অনেককেই। আর তাদের মধ্যে অন্যতম সাফ জয়ী আঁখি খাতুন। কয়েকদিন আগেই জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আখির বাবাকে থানায় উঠিয়ে নেয়ার হুমকি দেয় পুলিশ। এমনকি বাসায় ফিরলে আখিকেও থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠে।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর শহরের মেয়রের উদ্যোগে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ অনূর্ধ্ব-১৫ গোল্ডেন বুট ও সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী নারী ফুটবলার আঁখি খাতুনকে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ৮ শতাংশ জমির বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মামলার বাদী হাজী মাকরাম প্রামানিক মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করেন।
আজ সকালে পৌর মেয়র মনির আক্তার খান তরু লোদী ও মামলার বাদী হাজী মাকরাম প্রামাণিকসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মামলা প্রত্যাহারের জন্য শাহজাদপুর থেকে সিরাজগঞ্জ যান।
আজ দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফুন নাহার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদী আবেদন করেছেন। ফলে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। বর্তমানে ফুটবলার আঁখির বরাদ্দকৃত জমি সম্পূর্ণ নিঃস্কন্টক।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম জানান, প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ফুটবল খেলোয়াড় আঁখিকে ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত ৮ শতাংশ জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত ৪ জুন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার জমির দলিল হস্তান্তর করেন। সম্প্রতি হাজী মাকরাম প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তি জমিটি তাদের দখলে রয়েছে দাবি করে মামলা করেন। তবে মামলার তফসিলে তিনি খতিয়ান বা জমির মালিকানা দাবি করেননি। আজ দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী নিজেই মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করলে মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।
এর আগে দেশে ফেরার একদিন পরেই প্রায় আড়াই লাখ টাকা চুরির শিকার হন নারী ফুটবল দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়। তবে এ ঘটনায় পরবর্তীতে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয় তাদের।