সাতক্ষীরায় স্বামীর লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন স্ত্রী। বুধবার সকালে সাতক্ষীরা আশাশুনি সড়কের বুধহাটা এলাকায় শিশুটির জন্ম হয়।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ভাটা শ্রমিক আলতাফ হোসেন (৩৪) এর লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফেরার পথে লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সে থাকা তার গর্ভবতী স্ত্রী রহিমা খাতুনের মাসিক শুরু হয়। বাধা পরে অ্যাম্বুলেন্সেই কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা মাসুম হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক শামসুর রহমান সরদারের ছোট ছেলে আলতাফ হোসেন প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকায় একটি ইটভাটায় কাজ করতে যান। গত দুই সপ্তাহ আগে আলতাফ হোসেন ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করার সময় অসুস্থ বোধ করে প্রথমে বাড়িতে আসেন, পরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
কিন্তু আলতাফ হোসেনের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। তার ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে এবং তার শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। গত ১২ ডিসেম্বর রাতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বুধবার সকালে তার মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন পরিবারের সদস্যরা। ওই অ্যাম্বুলেন্সে থাকা আলতাফের স্ত্রী রহিমা খাতুনের মাসিকের ব্যথা শুরু হয়। অ্যাম্বুলেন্সেই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি।
প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু দাউদ ঢালী গণমাধ্যমকে জানান, বুধবার বিকেলে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে আলতাফের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নবজাতক ও তার মা সুস্থ আছেন।