রাজধানী ঢাকার দক্ষিনখান এলাকার একটি সুউচ্চ ১০ তলা বিল্ডিং এর ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহ”নন করেছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজানা মোসাদ্দিকা নামের ২১ বছর বয়সের এক তরুণী। এই ঘটনায় তার বাবাকে অভিযুক্ত করে ঐ কিশোরী একটি চিরকুট লিখে রাখেন। তরুনীর মা সানজানার বাবা শাহিন আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের পর এই ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত সানজানার বাবা স্বীকার করে বলেছেন, তিনি তার মেয়ের আ”ত্মহননের জন্য দায়ী।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, সঞ্জনার লেখাপড়ার খরচ বন্ধ করা, মাকে ডিভোর্সের পর তার বাবার দ্বিতীয় বিয়ে এবং বাড়ির কাজের মেয়ের প্রতি তার বাবার অশালীন আচরণ তাকে আ”ত্মহনন করতে প্ররোচিত করে। চিঠিতে এসব অভিযোগ তুলে আ”ত্মহনন করেছিলেন সানজানা।
গতকাল বুধবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও পৌরসভা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে বাবা শাহীন পলাতক ছিলেন। র্যাব-১ এর সহকারী মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার নোমান আহমেদ।
তিনি জানান, তার মেয়ে সানজানার লেখাপড়ার কোনো খরচ তিনি দেননি। তিনিও তার মাকে তালাক দিয়ে পুনরায় বিয়ে করেন। এছাড়া বাড়ির কাজের মেয়ের সঙ্গে অশোভন আচারন করছিলেন। তার মেয়ে এটা মেনে নিতে পারেনি। এসব ঘটনা সানাজানাকে আত্মহননের দিকে নিয়ে যায়। ফলস্বরূপ, তার বাবা সানজানার এই ধরনের আত্মহননের জন্য দায়ী এবং একটি নোটে সানাজান লিখে গিয়েছিলেন, ‘একটা ঘরে পশুর সাথে থাকা যায়, কিন্তু অমানুষের সাথে না। একজন অ”ত্যা/চারী রে”পি/ষ্ট যে কাজের মেয়েকেও ছাড়ে নাই। আমি তার করুন ভাগ্যের সূচনা।’
গত ২৭ আগস্ট দুপুর ১২টা বাজার কিছু সময় পরে এই ঘটনা ঘটে। সানজানা তার বসবাস করা দশ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্ম হ”নন করেন। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনার পর তার বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সানাজনার মা উম্মে সালমা একটি মামলা দায়ের করেন। সানজানার মা দক্ষিনখান থানায় গিয়ে সানজানার বাবার বিরুদ্ধে আ”ত্মহননে প্ররোরচনার অভিযোগ তুলে এই মামলাটি দায়ের করেন।