Wednesday , December 25 2024
Breaking News
Home / Exclusive / বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আটবার থানায় গেল শিশু

বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আটবার থানায় গেল শিশু

দশ বছরের এক শিশু কাঁদতে কাঁদতে থানায় এসে পুলিশ অফিসারের কাছে এমন অভিযোগ করলেন যে, “‘বাবা বড় বোনকে বেশি আদর করে, আমাকে করে না।’ তা–ও আবার এই অভিযোগ নিয়ে একবার নয়, এক বছরে শিশুটি থানায় গেছে আটবার। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে চীনের হুনান প্রদেশে। এই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

শিশুটি সর্বশেষ ২৮ জানুয়ারি থানায় আসে। প্রচণ্ড ঠান্ডায় বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার হেঁটে থানায় আসে। তখন তার পরনে শীতের কোনো পোশাক ছিল না। শুধু একটা পাতলা টি-শার্ট ছিল।

ভিডিওতে দেখা যায়, থানায় আসার পর শিশুটি একজন পুলিশ কর্মকর্তার পাশে বসে কাঁদছে আর কথা বলছে। এ সময় তার চোখে-মুখে প্রচণ্ড রাগ ছিল। পুলিশ অফিসার তার কাছে জানতে চান কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে এসেছ। জবাবে ছেলে রেগে বলল, ‘বাবার বিরুদ্ধে।’

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শিশুটি যখন পুলিশ অফিসারের সঙ্গে কথা বলছিল, তখন তার বাবা একটি শীতপোশাক (কোট) নিয়ে থানায় উপস্থিত হন। এ সময় তিনি ছেলেকে তা পরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সে নাছোড়বান্দা, কিছুতেই তা পরবে না; বরং তার কান্না ও ক্ষোভ আরও বেড়ে গেল।

এ সময় পুলিশ কর্মকর্তা শিশুটির কাছে জানতে চান, ‘কেন তুমি কোট পরবে না?’ জবাবে ছেলেটি বলে, সে কোনো কোট পছন্দ করলে বাবা বলেন, ‘এটা তোমার বয়সের না।’ এ থেকে তার মনে হয়েছে, বাবা তাকে নয়, বড় বোনকে বেশি ভালোবাসেন।

শিশুটির মা জানান, তার ছেলে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে এক বছরে আটবার থানায় গেছে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই যার যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত। এতে শিশুদের সঠিক সময় দেওয়া হয় না। এ জন্য ছেলের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ ও হতাশা কাজ করছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ঘটনায় অনেকেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। একজন লিখেছেন, ‘বাহ, কী চৌকস ও আদুরে ছেলে! সে জানে, কোথায় গেলে সমস্যার সমাধান হবে।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘আশা করি, ছেলেটি পুলিশের কাছ থেকে ভালোবাসা ও সমস্যার যথাযথ সমাধান পেয়েছে।’

About bisso Jit

Check Also

দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১: পুরুষ শূন্য গ্রাম, আতঙ্কে পালিয়েছেন নারীরাও

মাদারীপুরের শিবচরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সোমবার দুপুরে হিরু মাতুব্বর নামে একজন নিহত হয়েছেন। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *