গত বছর খানেক আগেই জন্মদাতা বাবাকে হারিয়ে অনেকটা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন শিশু রোহান। বাবার একমাত্র মা-ই ছিল তার আশ্রয়স্থল। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, বাবাকে হারানোর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই শেষ আশ্রয়স্থল মাকেও হারিয়ে এখনো যেন বাক্রুদ্ধ হয়ে গেছেন রোহান।
কারো সাথে কথা বলছে না। মৃত্যু সংবাদে প্রথমে তিনি কেঁদেছিলেন, কিন্তু এখন তার চোখ আর কাঁদছে না। শুধু চুপচাপ বসে আছে।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আজহার জাফর শাহের গাড়ির নিচে চাপা পড়ে রুবিনা মর্মান্তিকভাবে মারা যান।
এরপর থেকে মাকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গেছেন রোহান। রুবিনার বড় ভাই রোহানের চাচা জাকির হোসেন বলেন, ‘বাবার পর মা তার একমাত্র আশ্রয়স্থল। আমার ভাগিনা একা হয়ে গেছে।
বিলাপ করতে করতে তিনি বলেন, বোনটি খুব নৃশংসভাবে মারা গেছে। আমি আমার বোনকে বাঁচাতে পারিনি। রুবিনা মোটরসাইকেলে করে হাজারীবাগে আমার বাসায় আসতো। শাহবাগ পার হওয়ার পথে একটি প্রাইভেটকার তাকে ধাক্কা দেয়। তারপর তাকে টেনে নীলক্ষেতে নিয়ে যায়। আমি অনুভব করি সে কি কষ্ট পেয়েছিল। আমার বোন বাঁচতে পারত। আমরা মামলা করেছি। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এদিকে নিহত রুবিনার বোন সুলতানা লিপি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, গত বছর খানেক আগেই স্বামীকে হারিয়ে অনেকটা ভেঙে পড়েছিলেন রুবিনা। আর এরই মধ্যে তাকেও চলে যেতে হবে, যেন কখনো কল্পনাও করতে পারেনি কেউ।