বাবার দাফন শেষে সন্তানদের নিয়ে রাজবাড়ী থেকে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকায় ফিরছিলেন এলিনা ইয়াসমিন। সেই আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয় এলিনার দেহ। সৌভাগ্যক্রমে তার পাঁচ মাস বয়সী ছেলে সৈয়দ আরফান বেঁচে আছে। এলিনার স্বামী সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন ঢাকায় বাড়িতে ছিলেন।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিহত চারজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমএইচ) হাসপাতালের মর্গে আনা হলে তাদের স্বজনরা ভিড় জমায়। তাদের দাবি, মর্গে আনা চারটি লাশের মধ্যে তার লাশও রয়েছে।
সাজ্জাদ হোসেনের বড় ভাই মুরাদ হোসেন জানান, এলিনা তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী। এলিনার বাবা মারা গেছেন ১০ দিন আগে। সে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিল।
ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) উপ-পরিদর্শক সেতাফুর রহমান বলেন, মরদেহ চারটি পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে। দেখে এদের মধ্যে একজন পুরুষ, একজন শিশু এবং বড় চুল দেখে একজনকে নারী হিসেবে শনাক্ত করা গেছে। বাকি একজন পুরুষ না কি নারী তা দেখে বোঝার উপায় নেই।
তিনি আরও জানান, রাতেই পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে মরদেহ চারটি মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে। শনিবার ময়নাতদন্ত করা হবে। তাদের শনাক্ত করতে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে।