Monday , November 25 2024
Breaking News
Home / more/law / বাবার কাছেই থাকবে জাপানি সেই দুই শিশু, মা দেখতে পারবেন বছরে ৩ বার

বাবার কাছেই থাকবে জাপানি সেই দুই শিশু, মা দেখতে পারবেন বছরে ৩ বার

গেল বেশ কয়েক মাস আগে দেশের সব অনলাইন পত্রিকা গুলোতে একটি খবর বেশ ফলাও করে ছাপা হয়। আর তা হলো নিজের সন্তানদের দেখতে জাপান থেকে ছুটে এসেছেন একজন মা। এরপর থেকেই এই বিষয়টি নজরে আসে সবার। শেষ পর্যন্ত বেশ কয়েক দফা আদালত বসার পরে আজ পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষনা হলো এই মামলাটির।

এরই মধ্যে জানা গেল, জাপানি দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনা বাংলাদেশে তাদের বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে বলে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে, তাদের মা নাকানো এরিকো জাপান থেকে এসে বছরে তিনবার ১০ দিন করে দুই সন্তানের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে পারবেন। জাপানি মায়ের আসা-যাওয়া ও থাকা-খাওয়ার সব খরচ বাবা ইমরান শরীফকে বহন করতে হবে।

রোববার (২১ নভেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে, গত ১৪ নভেম্বর জাপানি নাগরিক মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকা সন্তানকে বাংলাদেশে ফেরানো ও বাংলাদেশে বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকা দুই সন্তানকে মায়ের কাছে রাখা সংক্রান্ত রিটের রায়ের তারিখ পিছিয়ে ২১ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

এরিকোর আইনজীবী শিশির মনিরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালের ১১ জুলাই জাপানি নাগরিক ডা. এরিকো নাকানো ও বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিক শরীফ ইমরান (৫৮) জাপানি আইন অনুসারে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। ১২ বছরের দাম্পত্য জীবনে তারা তিনটি কন্যা সন্তানের দেন। তারা হলো—জেসমিন মালিকা (১১), লাইলা লিনা (১০) ও সানিয়া হেনা (৭)। সবাই টোকিওর চফো সিটিতে অবস্থিত আমেরিকান স্কুল ইন জাপানের (এএসজেআই) শিক্ষার্থী ছিল।

এর আগে দাম্পত্য কলহের জের ধরে চলতি বছরের গত ১৮ জানুয়ারি ডা. এরিকো নাকানোর সঙ্গে দীর্ঘদিনের সাংসারিক জীবনের ইতি টানেন শরীফ ইমরান। আর এরপরই দুই সন্তানকে নিয়ে বেশ ঝামেলা দেখা দেয় তাদের মাঝে। তবে অবশেষে আদালতের চুড়ান্ত রায়ে এ সমস্যার ইতি ঘটেছে।

About

Check Also

হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ: ২৮ অক্টোবরের ধ্বংসযজ্ঞে দেশকে জাহান্নামে পরিণত করা হয়

২৮ অক্টোবরের ধ্বংসযজ্ঞের মধ্য দিয়ে দেশ ও দেশের মানুষকে নরকের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *