“শাবিপ্রবির” এক মেধাবি শিক্ষার্থী বর্তমানে ম/ রন ব্যধি এক রোগের কারনে হাসপাতালে রয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য নেই পর্যাপ্ত অর্থ। দরিদ্র পরিবার কিভাবে তার চিকিৎসা করাবে তা ভেবে পাচ্ছে না। এমন সময় সেই ভুক্তভোগি শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ায় ওই শিক্ষার্থী সহপাঠীরা।
সহপাঠী, সিনিয়র-জুনিয়র নেই কেউই চেষ্টার কোন কমতি রাখছেনা। হজকিনস ক্যা/ ন্সারে আক্রান্ত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তাহসিন তাবাসসুম ইফতির চিকিৎসার জন্য অর্থের যোগান দিতে তারা ছোট পরিসরে বইমেলার আয়োজন করে ঘরে ঘরে ছুটছেন। , এবং টি-শার্ট বিক্রির উদ্যোগ নিন। এ ছাড়া তারা মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও আর্থিক সহায়তা জোগাড় করছে। এটি একটি জীবন বাঁচানোর জন্য প্রত্যেকের প্রচেষ্টার মতো।
তাহসিন তাবাসসুম ইফতি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি ক্যান্সারের চতুর্থ পর্যায়ে রয়েছেন। এর চিকিৎসার জন্য প্রায় ১৫ লাখ টাকা প্রয়োজন। দীর্ঘদিন চিকিৎসার খরচ বহন করতে থাকলে এখন আর তা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ইফতিকে বাঁচাতে পরিবার ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগিতা চেয়েছে।
নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী দীপ্ত রায় জানান, তাহসিন তাবাসসুম ইফতির চিকিৎসার জন্য এ পর্যন্ত প্রায় আট লাখ টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। বাকি টাকা জোগাড় করতে তারা অনলাইন বইমেলার আয়োজন করেছে এবং টি-শার্ট বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতি শুক্রবার বাক্সের মাধ্যমে মসজিদ-মন্দির থেকে টাকা আদায় করা হয়।
অর্জুনতলা বইমেলা বুথ:
বাঁশের খুঁটিতে ত্রিপল শামিয়ানা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জুনতলায় নীচে কয়েকটি টেবিল জড়ো করে একটি ‘অদম্য’ বইমেলার স্টল স্থাপন করা হয়েছে। পাঁচ শতাধিক নতুন-পুরাতন বইয়ের আয়োজন সেখানে। বুথের শিক্ষার্থীরা জানান, এবারের বইমেলা থেকে প্রাপ্ত অর্থ তাবাসসুম ইফতির চিকিৎসায় ব্যয় করা হবে।
বই সংগ্রহ ও বইমেলা সম্পর্কে ইফতির সহপাঠী নুরুল আম্বিয়া বলেন, ‘আদম্য’ নামের এই বইমেলার বইগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও আশেপাশের ক্যান্টিন থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাইরে থেকেও অনেকে এসে স্বেচ্ছায় স্টলে বই দেন।
তিনি আরও বলেন, বইমেলা থেকে যারা বই কিনছেন তারাও একই দাম দিচ্ছেন। অনেকেই বইয়ের অভিহিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য দিচ্ছেন। আমরা চিকিৎসার পুরো টাকা সংগ্রহের চেষ্টা করব।
তাহসিন তাবাসসুম ইফতির সহপাঠীরা তার চিকিৎসার জন্য সর্বস্তরের মানুষকে অনুরোধ করেছেন।
তাদের বান্ধবীর প্রান বাঁচাতে এমন প্রচেষ্টা দেখে অনেকেই তাদের দিকে এগিয়ে এসেছে। কেউ ওই সহপাঠীদের সাথে যোগ দিয়েছেন তো অর্থ সাহয্য করেছেন। সহপাঠীর প্রান বাঁচাতে তাদের এমন উদ্যেগ আসলেন প্রশংসনীয় বলে জানিয়েছেন অনেকেই।