সম্প্রতি গত ২৫ জুন দুপুরে উৎপল কুমার নামে এক শিক্ষককে স্ট্যাম্প দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যান স্কুলছাত্র আশরাফুল ইসলাম জিতু। এরপর গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় উৎপলকে। তবে অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরবর্তীতে তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে সেখানে গত ২৭ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণ হারাণ তিনি।
এদিকে ইতিমধ্যে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি জিতুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা যায়, এলাকার কিশোরদের কাছে ‘দাদা’ হিসেবে পরিচিত জিতু।
এলাকাবাসী জানায়, জিতুর পরিবার এলাকায় বেশ প্রভাবশালী। কলেজের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে রয়েছেন তার স্বজনরা। এ কারণে এর আগেও একাধিকবার তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে হুমকি দিয়ে তার দায়িত্ব শেষ করে দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, কলেজের সভাপতি ও পরিচালক সবাই জিতুর আত্মীয়। এজন্য তিনি বেপরোয়া। সে কারো কথা শোনে না। কে তাকে শাসন করবে। স্যার (উৎপল) তাকে শাসন করেছিলেন, তাই তাকে /পি//টি/য়ে /হ//ত্যা/ করা হয়েছিল।
এদিকে শিক্ষক উৎপল কুমার সরকারকে বান্ধবীকে নিয়ে স্কুল ক্যাম্পাসে আড্ডা দিতে ‘নিষেধ’ করেছিলেন; সেই ক্ষোভে এবং ‘নায়ক হওয়ার চেষ্টায়’ স্কুলছাত্র আশরাফুল ইসলাম জিতু তাকে স্টাম্প দিয়ে পি/টি/য়ে/ছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এদিকে এ ঘটনায় গত ২৯ জুন গ্রেপ্তার করা হয় জিতুর বাবা উজ্জ্বল হোসেন। এরপর আদালতের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ৫ দিনের রিমাণ্ডে নিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় অন্য আর জড়িত আছে কিনা, খুতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।