ভোক্তাদের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিত্ব ছাড়ার দাবির জবাব দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেছি আমার পদত্যাগ নিয়ে। মঙ্গলবার ( Tuesday ) (৩১ মে ( May )) বিকেলে ( afternoon ) নগরীর পলো গ্রাউন্ডে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ( Chittagong Chamber Commerce Industries ) আয়োজিত মাসব্যাপী বাণিজ্য মে ( May )লার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তেলসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সমালোচনার জবাবকালে বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এই বক্তব্যের কথা তুলে ধরেন বানিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি যে আমি পদত্যাগ করব নাকি? প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা পদত্যাগ করাতে চান তাদের জিজ্ঞেস করুন, তারা এসে দাম কমাতে পারবে কি? তাহলে তাদের মন্ত্রী করব। আপনাকে পদত্যাগ করতে হবে, এইসব কথা বলার জন্য, কাউকে ছোট করার জন্য বলা। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, পণ্যের দাম বাড়ানোর কথা হয়েছে। তেলের দাম বাড়ানোর কথা হয়েছে। আমি হিসেব করে দেখছি এই মুহূর্তে প্রতিবেশী দেশ ভারতে তেলের দাম আমাদের চেয়ে ১৫ টাকা বেশি। আর পাকিস্তানে ( Pakistan ) তা ৩৬ টাকা বেশি। আমাদের ৯০ শতাংশ তেল আমদানি করতে হয়। আর্জেন্টিনা ( Argentina ) ও ব্রাজিলে ( Brazil ) তেলের দাম বাড়লে আমরা কম দামে ( May ) খাব কী করে? সেখান থেকে ব্যবসায়ীরা তেল ক্রয়-বিক্রয় করছে।সরকার ( Government ) যাই করুক, ভ্যাট প্রত্যাহার করে নিতে পারে। সরকার ( Government ) এটা করেছে। আমাদের ডাল এবং গম আমদানি করতে হবে।
যে দেশগুলো থেকে এগুলো আমদানি করা হয় সেখানে দাম বাড়ছে। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টায় কোনো ভুল নেই। আমরা কীভাবে মানুষকে সাহায্য করা যায় তা বের করার চেষ্টা করছি। আমি সংবাদপত্রে দেখেছি যে কমিউনিস্ট পার্টি বলছে যে তারা বাণিজ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করতে চায়, তিনি তার পদত্যাগের দাবির কথা উল্লেখ করে বলেন। আমি কিছুক্ষণের মধ্যে নড়াচড়া করতে পারি, কোন সমস্যা নেই। তবে আমাকে গ্যারান্টি দিতে হবে আমি পদত্যাগ করলে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল তেলের দাম কমিয়ে দেবে, মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়া পাম তেলের দাম কমাবে। আমি তাদের কাছে সেই গ্যারান্টি চেয়েছিলাম। বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ২০২৬ বেশি দূরে নয়, বাংলাদেশের অবস্থান বদলেছে।
চার বছর আগে আমি মন্ত্রী ছিলাম না, দিল্লি গিয়েছিলাম। এক পাকিস্তানি জানতে চেয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাতে কি জাদু আছে? মন্ত্রী?আমাদের অর্থনীতি তাদের কাছে বিস্ময়। দেশকে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও অবদান রেখেছেন। সরকার ব্যবসা করবে না,ব্যবসায় সাহায্য করবে।স্বাস্থ্যমন্ত্রীর গ্রুপ কাভিদের সঙ্গে উদ্ধার হলো।গাছটি হলো তারই পরিচয়। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। চট্টগ্রামে এসেই দেখতাম পাহাড়ের মাঝখানে শহর।সাগরের হাতছানি।চট্টগ্রাম এক সময় পর্যটন শহর ছিল।ঢাকা থেকে কক্সে ট্রেন চলবে। বাজার ১৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে, সেই চট্টগ্রাম চাই। চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।
উল্লেখ্য, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ভোগ্যপণ্যের দাম ও আমদানির বিকল্প বাজার নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে আমরা তা কমাতে পারব না। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে দেশেও কমবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যা করছেন আমরা তা করছি, ভর্তুকি মূল্যে সাধারণ মানুষের কাছে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছি। আমরা আশাবাদী যে তেলের দাম কমতে শুরু করবে। পাম তেলের দাম এখন কমলেও সয়াবিন তেলের দাম এখনও কমেনি। কিন্তু বিপদ যখন আসে, তখন বিশ্বায়নও আসে। আমরাও বিশ্ব পরিবারের সদস্য। সেটা আমাদের সাথে থাকবে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা যেন একটু বেশিই মিতব্যয়ী হই।