কোন পিতা-মাতা চায় না তাদের সন্তান তাদের থেকে দূরে থাকে। তবে পরিবেশ পরিস্থিতি কখনো কখনো পিতা-মাতার থেকে সন্তানকে দূরে থাকতে বাধ্য করে। এমনি একটি বাস্তব ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার এক দরিদ্র দম্পতি। অভাবের কারণে দুই সন্তানকে দত্তক দিয়েছেন অন্য এক দম্পতির কাছে দত্তক দিয়েছেন তারা। দুই সন্তানের জনক পেশায় দিনমজুর। ( Day laborer. ) তিনি বলেন, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দুই সন্তানকে দত্তক দিয়েছেন তিনি।
উপজেলার গেলা ইউনিয়নের তেমার গ্রামে ( May ) এ ঘটনা ঘটে। এই দম্পতি তাদের দুই সন্তানকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের ( government ) সহায়তা চেয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, তেমার গ্রামে ( May )র সুধাংশু ( Sudhanshu ) বড়াই স্থানীয় একটি পানশালায় দিনমজুরের কাজ করেন। মদ্যপানের শস্যাগারে কাজ করে অল্প আয়ে তার সংসার চলে। তার পরিবারে চারজন সদস্য। এদিকে গত ( Past ) ৩১ মে ( May ) তার স্ত্রী কল্পনা ঢাকি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। বাবা সুধাংশু ( Sudhanshu ) বড়াই ও মা কল্পনা ঢাকি সন্তানের লালন-পালন নিয়ে চিন্তিত। পরে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নবজাতক শিশুটিকে ৩ জুন ( June ) অন্যের কোলে তুলে দেন।
এর আগে গত ( Past ) বছর আরেকটি ছেলের জন্ম দেন কল্পনা ঢাকি। সেই সন্তানকেও তারা দত্তক দিয়েছেন। বর্তমানে এই দম্পতির ঘরে আরও দুই ছেলে রয়েছে।
সুধাংশু ( Sudhanshu ) বড়াইয়ের কয়েকজন প্রতিবেশী এক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, কল্পনা সুধাংশু ( Sudhanshu ) বড়াইয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী। তার প্রথম স্ত্রীর সন্তান না থাকায় তিনি অন্য একজনের একটি পুত্র সন্তান দত্তক নেন। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর ৬ বছর আগে সুধাংশু ( Sudhanshu ) বড়াই কাথিরা গ্রামে ( May )র কল্পনাকে বিয়ে করেন। এরপর তাদের সংসারে দুই ছেলের জন্ম হয়। গত ( Past ) বছর তার স্ত্রী আবার একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। এরপর ৩১ মে ( May ) কল্পনা আবার একটি ছেলের জন্ম দেন। পরে ৩ জুন ( June ) তার স্ত্রীর এক নিকটাত্মীয় নিঃস/ ন্তান দম্পতির কাছে দত্তক দেন। এর আগে, গত ( Past ) বছর জন্ম নেওয়া ছেলেটিকে এক দম্পতি তাদের আত্মীয়দের মাধ্যমে ( May ) দত্তক নিয়েছিলেন।
সুধাংশু ( Sudhanshu ) বড়াই এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এক সময় সন্তান না হওয়ার সমস্যা ছিল। প্রথম স্ত্রীর বাড়িতে সন্তান না থাকায় অন্যের সন্তান দত্তক নিলাম। সেই ছেলেটি এখন কলেজে। পরে সন্তান না হওয়ার যন্ত্রণা। কল্পনার বিয়ে হয়ে গেছে।তবে সংসারে অভাব অনটন চলছে।পানের শস্যাগারে কাজ করে যে সামান্য টাকা পাই তা দিয়ে সংসার চলে না।আমার একক আয়ে আমার পরিবারের সদস্যদের তিনবেলা খাবার যোগাড় হয় না। ‘
তিনি আরও বলেন, বস্তভিটা ছাড়া আমার এমন কোনো জমি নেই যে চাষ করে বাড়তি আয় হবে। বসার ঘরটিও জরাজীর্ণ। এ অবস্থায় আমি একটি দরিদ্র পরিবারে সন্তান লালন-পালন করা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। তাই উপায় ছিল না। দুই সন্তান দত্তক ছাড়া খোলা। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে দুই ছেলেকে দত্তক নিয়েছি।’
তবে সরকার আর্থিক সহায়তা দিলে দত্তক নেওয়া দুই সন্তানকে ফিরিয়ে আনতে চান দরিদ্র বাবা।
সুধাংশু ( Sudhanshu ) বারাইয়ের স্ত্রী কল্পনা ঢাকি বলেন, ছেলেটি দারিদ্র্যের পরিবারে জন্মে ( May )ছে। নিজেদের খাওয়ানোর জন্য এর চেয়ে ভালো উপায় নেই। আমাদের সন্তানের জন্য দুধ কেনার সামর্থ্য নেই। সন্তানের বুকের ধন। আমি পারি না। সেই বুকের ধনটা আরেকজনের কোলে তুলে দিতে কতটা কষ্ট আর কষ্ট হয় বুঝিয়ে বলুন।কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে দুই সন্তান দত্তক নিতে হলো।’
গৈলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শফিকুল হোসেন টিটু ( Shafiqul Hossain Titu ) জানান, বিষয়টি তিনি অবগত ( Past ) নন। এ বিষয়ে তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলামে ( May )র ( Tariqul Islam ) সঙ্গে কথা বলবেন।
গাইলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য তরিকুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তেমার গ্রাম ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই গ্রামে ( May ) কেউ শিশুটিকে দত্তক নিয়েছেন কিনা তা তিনি জানেন না। তিনি এখন বৈঠকে আছেন। মিটিং শেষ হলে খুঁজে বের করুন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাখাওয়াত হোসেন ( Md. Sakhawat Hossain ) জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। সরকার দরিদ্র পরিবারের জন্য যতটা সম্ভব করবে।
উল্লেখ্য , দত্তক দেওয়া সন্তনদেরকে ফিরে পেতে চান এই দম্পতি। তবে অর্থ কষ্টের জন্য তা হয়ে উঠছেনা। তারা বাংলাদেশ সকারের ( Bangladesh Soccer ) কাছে গন মাধ্যমে ( May )র মাধ্যমে ( May ) আকুল আবেদন জানা যেন তারা তাদেরর সন্তানকে ফিরে পায়। অর্থ কষ্ট দূর হলে তারা তাদের সন্তানদের ফিরে আনবে বলেও জানায় এই দম্পতি। নিজ সন্তান থেকে দূরে থাকার কারনে তারা বেশ দুঃখে জীবন জাপন করছে বলেও জানান তারা।