দীর্ঘদিন ধরেই নানা দুর্নীতি, অনিয়মের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি স্বজনদেরও ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগে আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করতে এসে রীতিমতো বেশ বেগ পেতে হচ্ছে ছোট বোন ও টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি আবুল মনসুরের স্ত্রী দিল নেওয়াজ বেগমকে (৪১)। এ ঘটনায় শুরু হয়েছে বেশ আলোচনা-সমালোচনা।
কক্সবাজার শহরের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ডজনখানেক মামলার আসামি আবুল মনসুর প্রকাশ লুদুর (৪৫) বিরুদ্ধে প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও চাঁদাবাজির মামলা নিচ্ছে না কক্সবাজার সদর থানা পুলিশ।
গত ২৭ মার্চ লুদু ১০ লাখ টাকা চাদর জন্য জমি বিক্রি করতে দিচ্ছে না— এমন একটি লিখিত এজাহার করেছেন তার ছোট বোন নেওয়াজ বেগম। তবে কক্সবাজার সদর থানার ওসি মনির উল গিয়াস ওই সেই এজাহারকে এখনো মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেননি।
সদর থানার দেওয়া তথ্যমতে, কক্সবাজার সদর থানায় ডাকাতি, অস্ত্রসহ উত্তর রুমালিয়ারছড়ার হাশেমিয়া মাদ্রাসার পাশে আবদু ছবুর সওদাগরের ছেলে আবুল মনসুর প্রকাশের বিরুদ্ধে ১২টির বেশি মামলা ও একাধিক জিডি রয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী দিল নেওয়াজ বেগম বলেন, আমার ভাই ছোটবেলা থেকেই অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এখন অন্যের জমি দখল করে খাজনা আদায়ের জন্য বোনের জমি থেকে চাঁদা দাবি করছেন। প্রয়োজনে ‘হ”ত্যা”রও হু’ম’কি দেন।
তিনি বলেন, আমার বাবা ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর শহরের আলী জাহালে সাইফুল কমিউনিটি সেন্টারের কাছে ৮ শতাংশ জমি আমার নামে রেজিস্ট্রি করেন। ওই জমি বিক্রি করতে গেলে আমার ভাই আমাকে বাধা দেয়। বারবার হুমকি দিচ্ছে, ‘মে’রে’ ফেলার। ১০ লাখ টাকা দাবি করে। এর সমাধানের জন্য আমরা একাধিক পারিবারিক বৈঠক করেছি। কিন্তু আমার বড় ভাই কারো কথা শুনলেন না।
তিনি আরও বলেন, আমার জমি বিক্রিতে আমার অন্য ভাইবোনদের কোনো সমস্যা না থাকলেও ও আমার স্বামী মোহাম্মদ আবুল মনসুরকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দেওয়ার জন্য ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। চলতি বছরের ২৭ মার্চ সদর থানায় লিখিত বক্তব্য দিয়েছিলাম। কিন্তু সাড়ে ৫ মাস পার হলেও মামলা নিচ্ছেন না সদর থানার ওসি।
এদিকে এ অভিযোগের আলোকে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মাহাফুজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে সংবাদ মাধ্যমকে দাবি করে বলেন, তিনি এই থানায় নতুন এসেছেন, সেহেতু এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।