হঠাৎ করেই দেশের পরিবহন খাতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। মূলত ডিজেল এবং কেরোসিনের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় এমন পরিস্তিতি বিরাজ করছে। জনসাধারনের মনেও এই মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে নানা প্রশ্নের দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশের ছোটপর্দার বহুল আলোচিত ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাহনাজ খুশিও এই মূল্য বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোষ্ট দিয়েছেন।
তেল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় শুক্রবার (৫ নভেম্বর) ভোর থেকে সারাদেশে পালিত হচ্ছে শ্রমিকদের ডাকা পরিবহন ধর্মঘট। শ্রমিকরা বলছে, যদি ডিজেলের দাম বাড়ায় তাহলে যাত্রীদের ভাড়াও বাড়াতে হবে। তা না হলে ডিজেলের দাম কমাতে হবে। এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা; যারা জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছেন তারা গন্তব্যস্থলে যেতে পারছেন না। অনেকে উপায় না পেয়ে সিএনজি, রিকশা ও অটোরিকশায় বাড়তি ভাড়া দিয়ে ছুটছেন গন্তব্যে। শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এ প্রসঙ্গে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। তিনি লিখেছেন, ‘নানান নতুন সমস্যা মওসুমের দেশ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ! শুটিং থেকে ফিরছি। টঙ্গীর মোড় থেকে প্রায় সারা রাস্তায় শত শত মানুষ, নারী-পুরুষ, শিশু দাঁড়ানো! ধর্মঘটে কোনো গণপরিবহন রাস্তায় নাই! কবে কমবে মানুষের এ দুর্ভোগ!’
শাহনাজ খুশি জানিয়েছেন, ‘পরিবহন মালিকরা যখন এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভাড়া বাড়িয়ে দেবে, তখন সাধারণ মানুষ কি ধর্মঘট ডেকে ঘরে বসে থাকতে পারবে? কর্মজীবী মানুষের হাজারও প্রয়োজনে পথে চলতে হয়! এভাবেই বাধ্য হচ্ছে মানুষ, এমন সব সাধ্যের বাইরের হাজারও সিদ্ধান্ত গিলতে।’ এই অভিনেত্রীর ভাষ্য, ‘জনগণ মানে যদি দেশ হয়, তাহলে আদেশ দাতারা কি কোনোদিনই সাধারণ মানুষের সার্বিক অবস্থা না হোক, অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে সিদ্ধান্তগুলো নেবেন না? আসলে কে ভাববে মানুষের কথা।’
শুধু ডিজেল এবং কেরোসিনের দাম বৃদ্ধিই নয় দেশে জুড়ে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যেরও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্রাতিরিক্ত হারে। এতে করে জনসাধারন পড়েছে নানা ধরনের ভোগান্তির মধ্যে। এমনকি এই মূল্য বৃদ্ধিকে ঘিরে সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনায় পরিনত হয়ে বাংলাদেশ সরকার।