বাথরুমে প্রেমিকার সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় থাকা যুবকের ভিডিও ধারণ করেন পাহারায় থাকা দুই বন্ধু। পরে সেই ভিডিও ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা দাবি করা শুরু করেন ঐ দু’জন। টাকা না পেয়ে অনেক পরিচিতদের কাছে সেই ভিডিও পাঠিয়েছে তারা। একপর্যায়ে ভিডিওটি পুলিশের কাছে পৌঁছে যায়। পরে পুলিশ তিনজনকেই আটক করে।
ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের শিশু পার্কে। সোমবার ভুক্তভোগী কলেজ বাদী হয়ে গ্রেফতার তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ‘ধ’র্ষ’ণ ও অ’শ্লী’লতা’র অভিযোগ আনা হয়েছে। পরে ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করে বিকেলে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এর আগে রোববার সন্ধ্যায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আটপাড়া উপজেলার দেবিদ্বার গ্রামের রোদ্র তালুকদার, মোহনগঞ্জের বড়কাশিয়া গ্রামের সজিত ও একই উপজেলার পানুর গ্রামের ছাব্বির। তারা একে অপরের বন্ধু।
আর নির্যাতিতার বাড়ি মোহনগঞ্জ শহরে। সে শহরের একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছে।
জানা যায়, গত ৩ জানুয়ারি মোহনগঞ্জ শিশুপার্কের বাথরুমে ওই তরুণীর সঙ্গে রদ্রা তালুকদার একান্তে বৈঠক করেন। বাইরে পাহারা দেন ছাব্বির ও সজিত। যাইহোক, তারা দুজন আগেই বাথরুমে একটি ক্যামেরা স্থাপন করে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলি রেকর্ড করতে সক্ষম হয়েছিল।
পরে ছব্বির ও সজিত ওই ভিডিও ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে রদ্রা ও তরুণীকে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা দাবি করে। কাঙ্খিত টাকা না পেয়ে তারা সেই ভিডিও তাদের পরিচিত অনেকের কাছে পাঠাতে থাকে। ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। একপর্যায়ে সেই ভিডিও চলে যায় পুলিশের হাতে। পরে রোববার দুপুরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, ভুক্তভোগী তরুণীর দায়ের করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।