বাংলাদেশের অন্যতম আলোচিত ই-কমার্স সাইট ইভ্যালি। দীর্ঘদিন থেকে তারা বাংলাদেশের সফলতা সুদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল তবে সম্প্রতিককালে তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে এবং সেগুলো নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয় মূলত এই ই-কমার্স সাইটের কাজ হলো পণ্যের মূল্য গ্রাহকদের থেকে নিয়ে নেওয়া এবং পরবর্তীতে তাদের পণ্য সরবরাহ করা কিন্তু পণ্য সরবরাহ করতে ও তাদের বিশাল সময় এর সমন্বয় করতে হয় তবে অনেকেই ইতিপূর্বে পণ্য পেয়েছেন আবার অনেকেই টাকা দিয়েও তাদের কাঙ্ক্ষিত পণ্য হাতে পাননি
ই-কমার্স ইস্যুতে সদ্য গৃহীত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে ই-কমার্স মার্কেট-প্লেস ইভ্যালি। গ্রাহক পণ্যের সরবরাহ বুঝে পাওয়ার পরই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো সেই পণ্যের মূল্য পাবে এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ রাসেল।
মোহাম্মদ রাসেল বলেন, গণমাধ্যমের সূত্রে বিষয়টি আমরা জেনেছি। বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাই। এছাড়াও শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে একটি এসওপি সার্ভিস ডেভেলপ করা হবে। যাতে পণ্য ডেলিভারির আগে পেমেন্ট নেওয়া না হয়। ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ড যাদের আছে, তারা পেমেন্ট কন্ট্রোল করবে।
রাসেল আরও বলেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোনও ই-কমার্স নীতিমালা নেই যেটির জন্য ইভ্যালি নিজেও দীর্ঘদিন অ্যাডভোকেসি করে আসছে। আজকের এই সিদ্ধান্ত সেই নীতিমালা প্রণয়নের প্রথম ধাপ বলেই আমরা বিশ্বাস করি। এর ফলে গ্রাহক, মার্চেন্ট, মার্কেট-প্লেসসহ পুরো ইকো-সিস্টেমই উপকৃত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। যেকোনও রেগুলেটরি থেকে আসা সিদ্ধান্ত শুধু ইভ্যালি না বরং সবার জন্যই প্রযোজ্য হবে। আমরা এর সাধুবাদ জানাই।
প্রসঙ্গত, এখন থেকে আলেশা মার্ট, ধামাক, ইভ্যালির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করবে। ক্রেতাদের হাতে পণ্য ডেলিভারির পর টাকা পাবে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো। এমন তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা’ বিষয়ে সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, পণ্য ডেলিভারির আগে টাকা পরিশোধ যেন না হয় সেজন্য খুব শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে একটি এসওপি সার্ভিস ডেভেলপ করা হবে। ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ড যাদের আছে, তারা পেমেন্ট কন্ট্রোল করবে।
সভায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বাসযোগ্য করতে তাদের কাছ থেকে জামানত রাখার কোনও সিদ্ধান্ত বা আলোচনা হয়নি বলেও জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান।
অতিরিক্ত সচিব জানিয়েছেন, ক্রেতাদের সতর্ক থাকতে হবে। যারা অস্বাভাবিক অফার দেয়, তারা সন্দেহজনক আচরণ করতে পারে। তারপরও আমরা আশা করি, তারা যেন অনলাইনে কার্ড বা বিকাশ-নগদের মতো সিস্টেমে পেমেন্ট করে, তাহলে পেমেন্ট কন্ট্রোল করা যাবে। এর বাইরে ভিন্ন পন্থায় যদি তারা অ্যাডভান্স দিয়ে দেয়, তাহলে কিন্তু সমস্যা হতে পারে।’
সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও ডাক টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিনিধি, রাজস্ব বোর্ডের প্রতিনিধি, বিটিআরসির প্রতিনিধি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের প্রতিনিধি, ই-ক্যাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে ই-কমার্স সাইট ইভ্যালি নিয়ে চলছে আলোচনা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ইভ্যালির এই বিষয় নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। এবং সম্প্রতি জানা গেছে পরিমাণ অনেক বেশি তাদের মোট মুনাফার থেকে। সারাদেশে তাদের অনেক গ্রাহক রয়েছে যারা এখন পর্যন্ত টাকা দিয়ে তাদের কাঙ্ক্ষিত পণ্য এবং টাকা কোনটাই পাননি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে