Wednesday , November 13 2024
Breaking News
Home / Countrywide / বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা বললেন বাণিজ্য সচিব

বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা বললেন বাণিজ্য সচিব

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, রপ্তানি বাজারে যাতে কোনো প্রভাব না পড়ে সে বিষয়ে সরকার সচেতন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পোশাক খাতে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে আমরা মনে করি না।

সোমবার (৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে শ্রমনীতি পর্যালোচনা সভা শেষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য সচিব এসব কথা বলেন।

রপ্তানি বাজার নিয়ে সরকার ‘সচেতন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শিল্প মালিকের সঙ্গে সরকারও জড়িত। শ্রমিকদের অধিকার সংক্রান্ত মার্কিন স্মারক নিয়ে আলোচনা হবে এবং তাদের অগ্রগতি জানানো হবে। পোশাক খাতের জন্য নেওয়া হয়েছে পাঁচ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা, এ পর্যন্ত যে অগ্রগতি হয়েছে; তারা আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রিপোর্ট করা হবে।.

তিনি বলেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে পোশাকে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয়, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তা দেয় না।” তারা ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে ১০ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতি চায়। আমরা ১৫ শতাংশ করেছি। আগে তা ছিল ২০ শতাংশ। সমস্ত অগ্রগতি তাদের জানানো হবে।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে যাচ্ছে। তাই শ্রম আইন নিয়ে পর্যালোচনা সভা করেছি। আমরা এ পর্যন্ত চারবার এই আইন সংস্কার করেছি। আমরা একটি সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) আইন সংস্কার করা হয়েছে। আগামী জুনে বেপজা আইন সংস্কার করা হবে। এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রিপোর্ট করা হবে। এ নিয়েই আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরও সংস্কার দেখতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তারা শ্রম আইন বা শ্রম অধিকারের বিষয়ে আরও অগ্রগতি দেখতে চায়, এটা রাতারাতি হবে না।” এটা আমাদের জন্য একটি চলমান প্রক্রিয়া। সরকার এ ব্যাপারে সচেতন। বাংলাদেশ থেকে সব নিয়ম মেনে পোশাক রপ্তানি হয় বিভিন্ন দেশে। কারো দয়ায় বাংলাদেশ কোনো দেশে কাপড় রপ্তানি করে না।

About Babu

Check Also

কাল নিলেন উপদেষ্টার দায়িত্ব, আজ হলেন আসামি: যা বললেন বশির উদ্দিন

নতুন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন নিজের নামে মামলা প্রসঙ্গে বলেন, “আমি পুরো বিষয়টি স্পষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *