স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় সামিল হতে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ। স্বল্প সময়ে বাংলাদেশ অর্জন করেছে ব্যপক সফলতা এবং সম্মাননা। বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রগতি দেখে বিশ্বের অনেক দেশ যৌথ ভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এমনকি ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে। এদিকে স্বল্পনোন্নত দেশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের বাজারে যে সুবিধা পেত বাংলাদেশ সেই সুবিধা ২০২৯ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যে।
যুক্তরাজ্যের বাজারে ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিক্যাব টকে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত রবার্ট ডিকসন একথা বলেন। তিনি বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে এবং স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। দেশটির উন্নতি মসৃণ করার জন্য বের হয়ে যাওয়ার পরবর্তী তিন বছর পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত থাকবে। যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে গেছে এবং এর ফলে বাংলাদেশের বাণিজ্য নীতি কি হবে সেটি স্বাধীনভাবে বিবেচনা করার সুযোগ পেয়েছি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বিনিয়োগ সংলাপ হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, এইচএসবিসি, ইউনিলিভারসহ যুক্তরাজ্যে অনেক বড় কোম্পানি এখানে ব্যবসা করছে এবং আরও অনেকে এখানে ব্যবসা করতে পারে যদি বাজার সুবিধা পায়। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের একটি দেশ বাংলাদেশ এবং ওই দেশগুলোর প্রবৃদ্ধি হচ্ছে এবং এখানে জনসংখ্যা বাড়ছে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আগামী দশকে আমরা বাণিজ্য, নিরাপত্তা, সমুদ্র নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সম্পৃক্ত হবো। বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত হিসাবে আমি বিভিন্ন সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করছি।
ইতিমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় সামিল হতে জাতিসংঘের দেওয়া বেশ কয়েকটি ধাপ সফল ভাবে অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছে। অবশ্যে চূড়ান্ত ভাবে মনোনীত হতে করনীয় সকল কার্যক্রম আপ্রান ভাবে পালন করার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।